সুস্থ থাকতে শুধু কলা নয় খেতে পারেন খোসাও

Slider বাংলার সুখবর

ঢাকাঃ কলাই একমাত্র ফল যেটা পৃথিবীর সব দেশে পাওয়া যায়। স্বাদের কারনেই বিশ্বজুড়ে এটি জনপ্রিয় খাবার। কিন্তু এই কলা খাওয়ার সময় বেশির ভাগ মানুষ খোসা ফেলে দেন। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, কলার থেকে বেশি উপকারী খোসা।

চিকিৎসকরা সবসময়ই বলে থাকেন, কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন বি-৬, বি-১২, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম হজমে সাহায্য করে। কলায় থাকা ফাইবার পেট পরিষ্কার রাখে। কলা যেভাবেই খাওয়া হোক না কেন খোসাটি যায় ডাস্টবিনে।

তবে গবেষকরা বলছেন, কলার খোসাতেই থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ। যা শুধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেনা, বরং যেকোনো ধরনের সংক্রমণ রুখতেও প্রত্যক্ষভাবে কাজ করে। খোসার মধ্যে থাকা লুটিন নামক পদার্থ দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। এছাড়া কলার খোসায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। পাশাপাশি শরীরে রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে কলার খোসা।

সবুজ না হলুদ, কোন খোসা বেশি উপকারী

জাপানের এক গবেষণায় দেখা গেছে সবুজ খোসার থেকে বেশি উপকারী হলুদ খোসা। এই খোসা রক্তে শ্বেতকণিকার পরিমাণ ঠিক রেখে ক্যানসার মোকাবিলায় ভূমিকা রাখে। সবুজ খোসার ক্ষেত্রে ১০ মিনিট খোসা সেদ্ধ করে খেলে উপকার পাওয়া যায়। সবুজ খোসার মধ্যে উপস্থিত অ্যামাইনো অ্যাসিড ট্রিপ্টোফ্যানের কারণে রাতে ভাল ঘুম হয়। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে সবুজ খোসার মধ্যে থাকা সিরোটোনিন অবসাদ দূর করতেও সক্ষম। সেই সাথে ডোপামিনের সাহায্যে কিডনিতে রক্ত চলাচল ভাল হয়।

যেভাবে খাবেন কলার খোসা

অনেক রকমভাবে কলার খোসা খাওয়া যায়। এশিয়া ও ক্যারিবিয়ান দ্বীপগুলিতে কলার শাঁস ও খোসা প্রায় একসাথেই খাওয়া হয়। এছাড়া, বানানা পিল টি বা বানানা পিল স্মুদি উইথ আইসক্রিমও স্বাস্থ্য সচেতনদের কাছে বেশি জনপ্রিয়। কেউ কাঁচা খোসা খেতে পছন্দ করেন। আবার অনেকে সেদ্ধ করে খেতে পছন্দ করেন।

সূত্র : হেলথ লাইন ডটকম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *