এই দফা লকডাউন শেষে ২৯ এপ্রিল থেকে গণপরিবহন চালু করা নিয়ে সরকারের ভেতর আলোচনা চলছে। এ ক্ষেত্রে ওই দিন থেকে ট্রেনও চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ। সরকার থেকে ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত এলে যাতে সমস্যায় পড়তে না হয়, সে জন্যই এই প্রস্তুতি।
রেলওয়ে সূত্র বলছে, গত বছর লকডাউনে দুই মাসের বেশি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। ৩১ মে থেকে অল্প কিছু আন্তনগর ট্রেন দিয়ে সেবা পুনরায় চালু করা হয়। তবে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে চলাচল করে। পর্যায়ক্রমে সব আন্তনগর ট্রেন চালু করা হয়। সবার শেষে মেইল ও লোকাল ট্রেন চালু করা হয়। এবার এই পথে হাঁটতে চায় না রেল কর্তৃপক্ষ। তারা শুরুতেই সব আন্তনগর এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু মেইল ও লোকাল ট্রেন চালু করতে চায়। নতুবা যাত্রীদের চাপে স্বাস্থ্যবিধি মানা কঠিন হয়ে পড়ে।
রেলের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সামনে ঈদ। অল্প কিছু ট্রেন চালু করলে যাত্রীদের চাপে হিতে বিপরীত হয়ে যাবে। তখন লোকজন গায়ে গা লাগিয়ে যাতায়াত করবে। এতে সমালোচনায় পড়তে হবে। এ জন্য সব ট্রেন একসঙ্গেই চালুর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
এই বিষয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম শনিবার রাত পৌনে আটটার দিকে বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ২৯ এপ্রিল থেকে গণপরিবহন চালুর আভাস দিয়েছেন। ফলে ওই দিন থেকে ট্রেনও চলবে ধরে নিয়ে তাঁরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত এলেও যাতে বাস্তবায়নে সমস্যা না হয়, সে জন্যই আগাম প্রস্তুতি নেওয়া। তিনি বলেন, এবার সব ট্রেন একসঙ্গেই চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা। কারণ, অল্প ট্রেন চালু করলে যাত্রী চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। সব ট্রেন চালু করে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে চালানো হলে সমস্যা হবে না।
এবার ৫ এপ্রিল থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ। ফলে ইঞ্জিন-কোচ অলস বসে আছে। এ জন্য ইঞ্জিন চালু করে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। কোচের ত্রুটি আছে কি না, তাও পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে রেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।