অটোপাসের মেধাবৃত্তিতে জটিলতা

Slider শিক্ষা

অটোপাস শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তির তালিকা তৈরিতে জটিলতা দেখা দিয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় গত বছর তিনটি পাবলিক পরীক্ষা না নিয়ে শিক্ষার্থীদের দেয়া হয় অটোপাস। বিশেষ করে প্রাথমিক সমাপনী (পিইসি) এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা না হওয়ায় এই শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তির জন্য মনোনীত করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে শিক্ষা প্রশাসন। একই সাথে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের মেধা তালিকা প্রণয়নেও সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা।

এতে আগের নীতিমালা অনুযায়ী মেধাবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি করতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে শিক্ষা প্রশাসন কর্মকর্তাদের। এই পরিস্থিতিতে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করে মেধাবৃত্তিপ্রাপ্তদের তালিকা তৈরি করতে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। কাল বুধবার এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কমিটির সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, করোনা সংক্রমণ এড়াতে গত বছরের মার্চ মাসের ১৭ তারিখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিতে না পেরে সব শিক্ষার্থীকে দেয়া হয় অটোপাস। বিকল্প পন্থায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে ফল প্রকাশ করা হয়। কিন্তু এমন সমাধানেও নতুন জটিলতায় পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে প্রাথমিক সমাপনী (পিইসি) এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা না হওয়ায় এই শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তির জন্য মনোনীত করতে দেখা দিয়েছে সঙ্কট। মেধাবৃত্তি প্রদানের বর্তমান নীতিমালা এ ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যাচ্ছে না। প্রয়োজন হচ্ছে বিশেষ নীতিমালার।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) বৃত্তি অণুবিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষার্থীদের যেহেতু পরের শ্রেণীতে উত্তীর্ণ করা হয়েছে বিশেষ বিবেচনায়, তারা বৃত্তি থেকে বঞ্চিত কেন থাকবে? কিভাবে কোন পদ্ধতিতে তাদের বৃত্তি দেয়া যায় এজন্য একটি গাইডলাইন করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মতিক্রমে এজন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। সেই কমিটি সুপারিশ করবে শিক্ষার্থীদের কোন কোন বিষয় বিবেচনায় এনে তাদের মেধাবৃত্তির জন্য মনোনীত করা হবে। ৭ এপ্রিল কমিটির প্রথম সভা হওয়ার কথা।

এ প্রসঙ্গে কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক শাহেদুর খবির চৌধুরী বলেন, এখন বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে পিইসি পরীক্ষার্থীদের মনোনয়ন করা। কারণ, জেএসসি মেধাবৃত্তির ক্ষেত্রে প্রাথমিক সমাপনীর যে ফল আছে সেটা বিবেচনায় নেয়া হতে পারে। কিন্তু প্রাথমিক সমাপনীর আগে কোনো পাবলিক পরীক্ষা নেই। সে ক্ষেত্রে কী হবে? এসব বিষয় নিয়ে কমিটি আলোচনা করে বিকল্প পদ্ধতি বের করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *