হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে ‘জঘন্য ব্যক্তি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আজ সোমবার দুপুরে ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেজর হায়দার মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মামুনুল হক প্রসঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘উনি যেইসব কথাবার্তা বলেন, ‘‘নাস্তিকের বাঁচার অধিকার নাই’’, উনার বাবার অধিকার আছে? এই দেশ কি উনার বাবা করেছেন? আমরা করেছি, আমরা এই দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছি। আমার ভাই প্রাণ দিয়েছে, আপনার বোন প্রাণ দিয়েছে। তাদের দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশ। মামুনুল হকের দ্বারা সৃষ্টি হয় নাই। মামুনুল হকরা অ্যাজেন্ট প্রভোকেটার (উসকানিদাতাদের প্রতিনিধি)।’
মামুনুল হককে নিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ আরও বলেন, ‘রোম যখন পুড়ছিল, নিরু তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল। যখন বাংলাদেশ পুড়ছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুড়ছে, উনি ফূর্তি করতে গেছেন রিসোর্টে। ফূর্তি করুক গিয়ে কোনো আপত্তি নাই, কিন্তু ওটি (উনি) ন্যায্য বউ কি না, ওটারও তো প্রমাণ দিতে হবে।’
গণস্বাস্থের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘আমাদের জনগণকে রুখে দাঁড়াতে হবে। ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে হবে। আমরা হেফাজতকে সমর্থন করি না, করব না। যেদিন তারা সঠিক, মানবিক ইসলামের পথে না আসে । লম্বা জামা পরলে ইসলাম হয় না, মনের দিক থেকে পরিচ্ছন্ন হতে হয়।’
মাদ্রাসাগুলোতে ছেলে শিশুদের বলাৎকার ও যৌন হয়রানির প্রসঙ্গ টেনে জাফরুল্লাহ চৌধুরি বলেন, ‘অনেকেই যৌন নিপীড়নে জড়িত আছেন। এটা আমরা করলে যে অপরাধা, তারা করলেও সেই একই অপরাধ।’ এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে সরে এসে প্রকৃত ইসলাম পালনে হেফাজত নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরি।
গত শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিহত ও ধ্বংসাত্মক ঘটনার সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য ঢাকা থেকে ১৪ সদস্যবিশিষ্ট টিম সফর করেন। ঘটনার প্রত্যক্ষ বিবরণ তুলে ধরার লক্ষ্যে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।