নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেয়ার প্রশ্নই উঠে না। তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন। কোম্পানীগঞ্জে বিশৃঙ্খলার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের পরিচয় না দেখে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, প্রাণঘাতী সংঘর্ষে একজন দলীয় কর্মী নিহতের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। নিহত আলাউদ্দিন ও এর আগের ঘটনায় সাংবাদিক মুজাক্কিরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও তাদের পরিবার পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানান। এ ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং সাংগঠনিক শৃঙ্খলা পরিপন্থি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আইজিপি, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি ও জেলা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। আইন সমানভাবে প্রযোজ্য, ইতিমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অভিযান চলছে।
শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন ও অর্জনকে কারো অপকর্মের জন্য ম্লান হতে দিতে পারি না জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেনÑ এ দুঃখজনক ঘটনার বিচারকাজ তদন্ত করে রিপোর্ট গঠনের জন্য নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, রিপোর্ট এলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন থেকে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট এলাকায় জনজীবনে অস্থিরতা বিরাজ করছিলো, সরকার এখন কঠোরভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করছে, তাই আশা করা হচ্ছে শিগগিরই জনজীবনে স্বস্তি ফিরে আসবে। ওবায়দুল কাদের কোম্পানীগঞ্জের জনগণকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ধৈর্য ধারণ এবং সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। বিএনপি মহাসচিব বলেছেন-প্রধানমন্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে নাকি ৭ই মার্চের আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় মিথ্যাচার করেছেন, এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী মিথ্যাচার করেননি বরং জাতির সামনে ইতিহাসের প্রমাণিত সত্য তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, বিএনপি কখনো সত্য শুনতে চায় না, তাই ঐতিহাসিক সত্য প্রকাশে বিএনপি’র গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। জিয়াউর রহমান নাকি ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হতো না, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, তার এই বক্তব্যও স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির শামিল। এ ধরনের মিথ্যাচার বিএনপি’র রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বিএনপি জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রাণান্ত অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা আর ঘোষণা পাঠ করা এক কথা নয়। পাঠক কখনো ঘোষক হতে পারে না। ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান, বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ঘোষণা পাঠকারীদের মধ্যে একজন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমানকে দেশে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির জনক বলেও মন্তব্য করেন।