সাগরে ভাসমান রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জলসীমা থেকে অনেক দূরে রয়েছে : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

বাংলাদেশ বৃহস্পতিবার সুস্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে, রোহিঙ্গাদের নিয়ে গভীর সমুদ্রে আটকা পড়া নৌযানটি বাংলাদেশের জলসীমা থেকে অনেক দূরে রয়েছে এবং অন্য দেশের উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করছে।

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘নৌযানটির অবস্থান বাংলাদেশ থেকে আনুমানিক ১৭০০ কিলোমিটার দূরে শনাক্ত করা হয়েছে যা মিয়ানমার থেকে আনুমানিক ৪৯২ কিলোমিটার, থাইল্যান্ড থেকে ৩৬৩ কিলোমিটার, ইন্দোনেশিয়া থেকে ২৮১ কিলোমিটার ও ভারত থেকে ১৪৭ কিলোমিটার দূরে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘রোহিঙ্গা সংকট: সমুদ্রে ভাসমান শরণার্থীদের উদ্ধাদের আহ্বান জাতিসংঘের’ শিরোনামে বিবিসি’র একটি প্রতিবেদন বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

জাতিসঙ্ঘের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনটিতে ভুলভাবে দাবি করা হয়েছে যে, বাংলাদেশের উপকূলের অদূরে সমুদ্রে এসব মানুষ ভাসছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ইউএনএইচসিআর ইস্যুকৃত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ও জাতিসংঘের প্রকাশিত খবরে বলা হয়, নৌযানটিকে আন্দামান সাগরে শনাক্ত করা হয়েছে।

এতে আরো বলা হয়, জাতিসঙ্ঘের প্রকাশিত খবরে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, নৌযানটি আন্দামান সাগরে ভাসছে। এটি বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পূর্বে, মিয়ানমারের দক্ষিণে, থাইল্যান্ডের পশ্চিমে ও ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের পশ্চিমে অবস্থান করছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ ইউনাইটেড ন্যাশনস কনভেনশন অব দ্য ল’ অব দ্য সি (ইউএনসিএলওএস)-এর অধীনে এর আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

এতে আরো বলা হয়, ‘এর আগে সমুদ্রে ভাসমান রোহিঙ্গাদের উদ্ধারে আশপাশের অন্যান্য দেশ অস্বীকৃতি জানালেও বাংলাদেশ সরকারই এসব লোককে উদ্ধারে এগিয়ে আসে, যাদের আমাদের জলসীমায় পাওয়া গিয়েছিল।’

ঢাকা মনে করে, আটকে পড়া নৌযানটি যে দেশের জলসীমায় ভাসছে সেই দেশের প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে এটিকে উদ্ধার করা এবং তাদের উচিত আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তাদের দায়বদ্ধতা ও দায়িত্ব-বহনের নীতি পালন করা।

সূত্র : বাসস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *