খালেদা জিয়ার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা

Slider রাজনীতি


বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। নড়াইলে পৃথক দুটি মানহানির মামলায় বুধবার বিকেলে জেলার সদর আমলি আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদা এই আদেশ দেন।

মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে খালেদা জিয়া এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নির্বোধ বলার অভিযোগে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নামে নড়াইলে করা পৃথক দুটি মামলায় এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সমাবেশে খালেদা জিয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাধীনতাযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাকে (বঙ্গবন্ধুকে) ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি।’

এদিকে ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর ঢাকায় দলীয় এক আলোচনা সভায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘তারা নির্বোধের মতো মারা গেল, আমাদের মতো নির্বোধরা প্রতিদিন শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে ফুল দেয়, না গেলে আবার পাপ হয়।’

দুজনের এমন বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশ ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার করা হয়। নড়াইলের কালিয়া থানার যাদবপুর গ্রামের শেখ আশিক বিল্লাহ নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বসে এই খবর পড়ে মারাত্মকভাবে ক্ষুব্ধ হন। পরে তিনি বাদী হয়ে একই বছরের ২৯ ডিসেম্বর দুপুরে খালেদা জিয়া ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নামে নড়াইল সদর আমলি আদালতে পৃথক দুটি মামলা করেন। মামলার পর দুজনে আদালতে হাজিরা দেননি। অবশেষে দুজনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেন আদালত।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার রিজভী বলেন, খালেদা জিয়া কার্যত গৃহবন্দী। এ অবস্থায় মানহানির মামলায় তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নজিরবিহীন ঘটনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *