কাদের মির্জা বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ডা, মাদকাসক্ত’

Slider রাজনীতি


ফেনী: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বিএনপি-জামায়াতের পেইড এজেন্ট। তিনি তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার পাশাপাশি এলাকায় টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত। একইসঙ্গে কাদের মির্জা মাদকাসক্ত, দুশ্চরিত্র ও উন্মাদ-বেসামাল বলে দাবি করেছেন জেলার একটি পৌরসভার মেয়র ও দু’টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের একটি রেস্টুরেন্টে কাদের মির্জার ‘মিথ্যাচার’র বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সোনাগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন। এসময় জেলা যুবলীগের সভাপতি ও দাগনভুঞা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, ফেনী পৌর আওয়ামীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী স্বপন বক্তব্য রাখেন। তবে লিখিত বক্তব্যে এই তিন জনপ্রতিনিধির নাম থাকলেও ছিল না কোন স্বাক্ষর।

জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন বলেন, আব্দুল কাদের মির্জা তারেক জিয়ার সঙ্গে আঁতাত করে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে, জাতীয় ও স্থানীয় নেতাদের নিয়ে প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করছেন। কাদের মীর্জা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জ্যাকশন হাইটসে একটি হোটেলে বৈঠক করেন এবং তারেক রহমানের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলে আওয়ামী লীগ এবং সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছেন। বিএনপি নেতা তারেক রহমান বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জাকে আশ্বাস দিয়েছেন আগামী সংসদ নির্বাচনে মওদুদ আহমেদ-এর আসনে (বর্তমান সাংসদ ওবায়দুল কাদেরের আসন) ধানের শীষের প্রার্থী করা হবে।

সেই আশ্বাসের কারণেই কাদের মীর্জা বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, টেন্ডারবাজ, সিএনজির টোল আদায়কারী, বাস-ট্রাক থেকে চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের হোতা কাদের মির্জা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইমেজ ক্ষুন্ন করার জন্য আবোল-তাবোল বক্তব্য শুরু করলে বিষয়টি আমাদের অনুভূতিতে আঘাত হানে। এ কারণে আমরা তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছি। কাদের মির্জার সন্ত্রাসের শিকার হয়ে নোয়াখালীতে অসংখ্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। ছাড়তে হয়েছে ঘরবাড়ি। কুখ্যাত সন্ত্রাসী কাদের মির্জা নিজেকে বিখ্যাত বানানোর জন্য চট্টগ্রাম মেয়র পদে শপথ নিতে যাওয়ার পথে দাগনভূঞায়ায় ভোর বেলায় নিজের গাড়িতে হামলার যে গল্প তৈরি করেছেন তার প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা যুবলীগের সভাপতি ও দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন বলেন, নোয়াখালীর প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে জোরালো দাবি জানাচ্ছি তথাকথিত ভন্ড, মতলববাজ, চাঁদাবাজ কাদের মির্জার কোন আদেশ, কোন নির্দেশনা না শুনে তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে পাবনা মানসিক হাসপাতালে অথবা যেকোন উন্নতমানের মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে প্রেরণ করা হোক।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ফেনী পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামীগ সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেন, কাদের মির্জা- আপনাকে পঁচা ডিম না আপনাকে পায়খানা মারা হবে। গরু চোর, ছেঁচড়া, বদমাইশ, হাইজাকার, নারী খোর কাদের মীর্জা ও তার ছেলে মিলে বসুরহাটকে সন্ত্রাস ও মাদকের স্বগরাাজ্য বানিয়েছে। আমরা কাদের মির্জাকে জানিয়ে দিতে চাই আপনি সহজ পথে ফিরে আসুন। মিথ্যাচার থেকে সরে এসে সুস্থ্য ও সুন্দর রাজনীতিতে ফিরে আসুন।’

সংবাদ সম্মেলনে ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেসবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল, ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল আলিম, সোনাগাজীর নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল আলমহ জেলার বিভিন্ন এলাকার জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *