গজারিয়ায় ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ

Slider নারী ও শিশু


গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ): মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের নতুন চরচাষী গ্রামে ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ ও ভিডিও চিত্র ধারণের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণের পর গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে নেয়ার পথে বাধা দেয় ধর্ষক ও তার সহযোগীরা। এ সময় হামলায় আহত হয়েছে ওই ছাত্রীর মা, বড় বোন ও দুলাভাই। পরে বাধ্য হয়ে ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।

ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী জানান, সে স্থানীয় বসুরচর পাঁচগাও উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় বসত ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলার সময় স্থানীয় লিটন মিয়ার ছেলে আকাশ (১৮) ও পারভেজ হোসেনের ছেলে সালাউদ্দিন তার মুখ চেপে ধরে বাড়ির উঠান থেকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী সিদ্দিকুর রহমানের পরিত্যক্ত বসতভিটায় নিয়ে ধর্ষণ করে এবং ভিডিওচিত্র ধারণ করে। তাদের কাছ থেকে বাঁচতে চিৎকার করে সে। তবে পার্শ্ববর্তী বিয়ে বাড়িতে উচ্চৈঃস্বরে সাউন্ড বক্স বাজার কারণে সে শব্দ শুনতে পায় নি কেউ।

ধর্ষণ শেষে তাকে বসতভিটায় ফেলে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা। পরবর্তীতে তার জ্ঞান ফিরে আসলে সে কোন রকমে তার বাড়িতে এসে পৌঁছায়।
এদিকে এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীকে হাসপাতালে নেয়ার পথে বাধা দেয় ধর্ষক আকাশ ও সালাউদ্দিনসহ তাদের স্বজনরা। এ সময় তাদের মারধরের শিকার হন ওই ছাত্রীর মা, বড় বোন ও দুলাভাই।

ওই ছাত্রীর মা জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়ার পর ধর্ষক ও তাদের স্বজনরা তাদের ওপর হামলা চালায়। পরবর্তীতে তার বড় মেয়ে ৯৯৯-এ ফোন দিলে গজারিয়া থানা পুলিশের একটি দল তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। গজারিয়া থানার এসআই মোঃ মাঈন উদ্দিন জানান, ফোন পেয়ে তারা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন।

এদিকে এ ঘটনায় শুক্রবার ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীর মা দুই জনের নাম উল্লেখ করে গজারিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে উপজেলা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ রইছ উদ্দিন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সংঘবদ্ধ একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে এবং এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর সেজন্য সব কিছু মাথায় রেখে সামনে এগুচ্ছেন তারা। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধর্ষকদের তিন আত্মীয়-স্বজনকে থানায় আনা হয়েছে। অভিযুক্তদের আটক নেতাদের সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রীকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *