নির্বাচন নিয়ে বিরোধ : ভাইকে গলা কেটে হত্যা

Slider চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নগরীর ১২নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডের বার কোয়াটার এলাকায় আপন ভাইয়ের হাতে এক যুবক খুন হয়েছেন।

নিহত নিজাম উদ্দিন মুন্না (৩৫) পাহাড়তলী ওয়ার্ড ছাত্রলীগ কর্মী বলে জানা গেছে।

বুধবার সকাল ৮টার দিকে বার কোয়াটার ডায়মন্ড টার্চ কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) রাশেদুল হক নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানায়, নিহত যুবক মুন্না ১২ নম্বর ওয়ার্ডের (সরাইপাড়া) আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী সাবের আহমদের কর্মী ছিল। তার ভাই সালাউদ্দিন কামরুল একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আমিনের কর্মী। নির্বাচন নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার সকালে ভোট শুরুর আগেই দু’জনের মধ্যে তুলুম ঝগড়া শুরু হলে মুন্নাকে ছুরিকাঘাত এবং গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায় কামরুল।

এদিকে, চট্টগ্রামের নগরপিতা বেছে নিতে ১৯ লাখ ৩৯ হাজারেরও বেশি ভোটার তাদের রায় দিবেন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ জন এবং ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন মহিলা ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।

বন্দর নগরী চট্টগ্রামের ৪১টি ওয়ার্ডে ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্রের ৪ হাজার ৮৮৬টি বুথের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

চসিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বন্দর নগরীতে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ১০ হাজরেরও বেশি সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। নির্বাচনের কোড লঙ্ঘনের ঠেকাতে চট্টগ্রাম শহরে প্রায় ২০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৫৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রের পাহারায় নিরাপত্তা বাহিনীর ১৬ জন সদস্যের একটি দল এবং প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) ভোটকেন্দ্রে ১৮ জন সদস্যের একটি দল মোতায়েন থাকবে। এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য সমন্বয়ে ৪১টি দলকে ভ্রাম্যমান ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হয়েছে, স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে একই সংস্থার সদস্যদের আরো ১৪ টি দল এবং ছয়টি দল সংরক্ষিত স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।

সেইসাথে, র‌্যাবের ৪১টি দল এবং ২৫ প্লাটুন বিজিবি সদস্যদের মোবাইল ফোর্স হিসেবে নির্বাচনী এলাকায় টহল দিবেন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম চৌধুরী (নৌকা প্রতীক), বিএনপির শাহাদাত হোসেন (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জান্নাতুল ইসলাম (হাতপাখা), এনপিপির আবদুল মন্জুর (আম), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন (মোমবাতি), ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার) এবং স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী খোকন চৌধুরী (হাতি) সহ সাতজন প্রতিধন্ধিতা করছেন।

এছাড়া ৪১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৭২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী এবং ১৪টি সংরক্ষিত আসনে ৫৭ জন মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি চসিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল ইসি। ওই তফসিল অনুসারে ২৯ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। তবে দেশে করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে ভোটগ্রহণের আট দিন আগে ২১ মার্চ তা স্থগিত করা হয়। এরপর, গত ১৪ ডিসেম্বর চসিক সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণের ২৭ জানুয়ারি নির্ধারণ করে ইসি।

সূত্র : ইউএনবি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *