স্বাধীনতাকে যারা ব্যর্থ করতে চেয়েছিল তারাই আজ ব্যর্থ : প্রধানমন্ত্রী

Slider জাতীয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে যারা ব্যর্থ করতে চেয়েছিল তারাই আজ ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, ১৯৭২ সালের এই দিনে আমাদের মহান নেতা তার প্রাণের বাংলাদেশিদের বুকে ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু এর তিন বছর পর ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ঘাতকেরা জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করেছিল। তারা আজ ব্যর্থ। আর রোববার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাষা আন্দোলনের পর থেকে বঙ্গবন্ধুকে বারবার কারাবরণ করতে হয়। আবার তিনি জামিন পেয়েছেন। স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। স্বাধীন রাষ্ট্র পরিচালনার সব নির্দেশনা ছিলো জাতির জনকের ৭ মার্চের ভাষণে।
মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি একটি স্বনির্ভর বাংলা গড়ে তুলেছিলেন।

জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসমুক্ত রেখে দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক চেতনার উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় পুর্নব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের উন্নয়ন কীভাবে হবে সেই পরিকল্পনা ডেল্টা প্ল্যান করে দিয়েছি। প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ৪১ সালে বাংলাদেশ কেমন হবে সেটা দিয়েছি। ২০৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতার শত বছর উদযাপন হবে, আগামী প্রজন্ম কীভাবে তা উদযাপন করবে, সেই কথা চিন্তা করে আমরা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। সেগুলো আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। একইসঙ্গে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এগুলোর হাত থেকে দেশকে মুক্ত রেখে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবো।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার প্রত্যাবর্তন দিবসে এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা, যে এ জাতি বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে। স্বাধীনতাকে যারা ব্যর্থ করতে চেয়েছিল আজ তারাই ব্যর্থ, আজকের বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ হিসেবে বিশ্বে মর্যাদা পেয়েছে- এই মর্যাদা ধরে রেখে আমরা বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবো এবং জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলবো।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জাতির পিতা এই জাতিকে ভালোবেসেছেন। আমাদের একটাই চিন্তা যে জাতির জন্য আমাদের মহান নেতা জীবন দিয়ে গেছেন। সেই জাতির কল্যাণ করা, তাদের জীবন সুন্দর করা এটাই আমাদের লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *