রাজধানীতে স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের পর হত্যা, আটক- ৪

Slider নারী ও শিশু


ঢাকা: রাজধানীতে গ্রুপ স্টাডির কথা বলে এক স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

আজ বুহসপতিবার রাতে পুলিশ এই ঘটনা জানায়।

রাজধানীর কলাবাাগানে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ও লেভের এক ছাত্রীকে গ্রুপ স্টাডির কথা বলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে পুলিশ ৪ বন্ধুকে আটক করেছে।

জানা যায়, রাজধানীর কলাবাগানের ডলফিন গলি এলাকায় ধানমন্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ওই তরুণী (১৭) ও লেভেলের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ঘটনায় তার বয়ফ্রেন্ড ফারদিন ইফতেখারকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া আর আরও তিন সহপাঠীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করার কথা জানিয়েছে কলা বাগান থানা পুলিশ।

এ বিষয়ে নিহত শিক্ষার্থীর বোনজামাই শরীফ বলেন, সে সম্পর্কে আমার চাচাতো শ্যালিকা। এ বছর মাস্টারমাইন্ড স্কুল থেকে ও-লেভেল পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটার দিকে কলাবাগানের ডলফিন গলিতে কোচিং করতে গেলে এ সময় তার এক বান্ধবী মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে একটি বাসায় নিয়ে যায়। এ সময় ওই বাসাতে চারজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে।
যখন প্রচন্ড রক্তপাত শুরু হয় তখন ধর্ষণে অভিযুক্ত ফারদিন ইফতেখার দিহান তাকে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিকাল পাঁচটায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মরদেহ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা মামলা করেছি।

তিনি বলেন, নিহত শিক্ষার্থীর মা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে চাকরি করেন। বাবা ব্যবসায়ী। তিন ভাই বোনের মধ্যে সে ছিল বড়। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকতেন। নিহত শিক্ষার্থীর মা জানান, আমার মেয়েকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ও আমাকে যখন ফোন করে জানিয়েছিল তখন আমি অফিসে ছিলাম। আমাকে জানায়, মা আমি ক্লাসের ওয়ার্কসিট আনতে যাচ্ছি। এই বলে গেছে। দুপুর একটার পরে একটি ছেলে মুঠোফোন থেকে ফোন দিয়ে জানায়, আমার মেয়ে অজ্ঞান হয়ে গেছে। ওকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। আপনারা আসেন। পরবর্তীতে গিয়ে দেখি মেয়ের নিথর দেহ পড়ে আছে। ওকে হাসপাতালেই আনা হয়েছে মৃত। এ বিষয়ে কলাবাগান থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ঠাকুর দাস মানবজমিনকে জানান এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *