বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত (রিজার্ভ) প্রথমবারের মতো ৪৩ বিলিয়ন ডলারের নতুন মাইলফলক অতিক্রম করেছে। বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ৪৩ বিলিয়ন বা চার হাজার ৩০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় তিন লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা; (প্রতি ডলার ৮৪ টাকা ধরে)।
প্রতি মাসে ৪ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে মজুদ এ বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে প্রায় ১১ মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। এর আগে ১৫ ডিসেম্বর ৪২ মিলিয়ন এবং গত ২৮ অক্টোবর রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছিল।
এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৩ দশমিক ১৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। যা আমাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতার অন্যতম মাইলফলক। নতুন একটি বছরের শুরুতে অবশ্যই জাতির জন্য এটি অত্যন্ত সুখকর ঘটনা
তিনি আরো বলেন, অপ্রত্যাশিত অভিঘাত কোভিড-১৯-এর মধ্যেও রিজার্ভের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধিতে গুরূত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে রেমিট্যান্সের অন্তঃপ্রবাহ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে এ অভূতপূর্ব সাফল্য যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে অর্জিত হয়েছে সেই সকল প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসছে। রপ্তানিও বেড়েছে। এছাড়া আমদানি ব্যয়ের চাপ কম, দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও জাইকার বৈদেশিক ঋণ সহায়তা ও বিশ্ব সংস্থার অনুদানের কারণে রিজার্ভ বেড়েছে।
তবে সামনে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধ করলে রিজার্ভ আবার কিছুটা কমে যাবে।
বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, ইরান ও মালদ্বীপ- এ নয়টি দেশ বর্তমানে আকুর সদস্য। এ দেশগুলো থেকে যে সব পণ্য আমদানি করা হয় তার বিল দুই মাস পর পর আকুর মাধ্যমে পরিশোধ করে থাকে বাংলাদেশ।