ঘুষ না পেয়ে ৬টি স্কুলের বেতন ভাতা বন্ধ করল কর্তৃপক্ষ

শিক্ষা সারাদেশ

চাহিদামত ঘুষ না পেয়ে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ৬টি আনন্দ স্কুলের বেতন ভাতা বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় আদিতমারী প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বিভিন্ন অভিযোগ তুলেন ভুক্তভুগি শিক্ষক শিক্ষিকারা।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলার ভিতরকুটি আনন্দ স্কুলের শিক্ষক বিশ্বনাথ বর্ম্মন।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেন, প্রতি ৬মাস অন্তর রক্স টেন ফরমে বিদ্যালয়ের ষানমাসিক রিপোর্ট পাঠাতে হয় রক্সের প্রধান কার্যালয়ে। নিয়মানুযায়ী তারা ফরম পুরন করে উপজেলা ট্রেনিং কো-অডিনেটরের হাতে জমা দিলে তিনি ৫শত টাকা হারে উৎকোচ দাবি করেন।
উৎকোচের টাকা সবাই দিলেনও ৬জন না দিয়ে প্রতিবাদ করেন। এ কারনেই ওই ৬টি বিদ্যালয়ের রক্স টেন ফরমটি প্রধান কার্যালয়ে পাঠাননি ট্রেনিং কো-অডিনেটর এলিনা পারভীন। যার জন্য উপজেলার ভিতরকুটি, দূর্গাপুর,পূর্বদৌলজোর,জগদিশ বাবুরটারী, জামুরটারী ও আদিতমারী বাদলের চাতাল আনন্দ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন ভাতা ৬মাস ধরে বন্ধ রয়েছে।

শিক্ষকরা সংবাদ সম্মেলনে কো-অডিনেটরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, শিক্ষা উপকরন, উপবৃত্তি, প্রশিক্ষন ভাতা ও শিক্ষকদের বেতন উত্তোলনের সময় বিভিন্ন অযুহাতে উৎকোচ গ্রহন করেন ট্রেনিং কো-অডিনেটর এলিনা পারভীন। প্রতিবাদ করলেই স্কুল বন্ধ করে দেয়ার হুমকী।
বকেয়া বেতন ভাতা আদায়ের জন্য ভুক্তভুগি শিক্ষকরা আদিতমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ সরকারের ভিবিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদিতমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ট্রেনিং কো-অডিনেটরকে ২৯ জানুয়ারীর মধ্যে শিক্ষকদের বকেয়া পরিশোধের নির্দেশ দিলেও শিক্ষকরা তা পান নি বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শিক্ষকরা তাদের পাওনাদি দ্রুত পরিশোধ করে ঝড়েপড়া শিশুদের শিক্ষার পরিবেশ ফিরে দিতে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভুগি প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক শিক্ষিকারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *