গাজীপুর: মোবাইল ফোনে ক্ষুদে বার্তায় গার্ডিয়ানদের ডাকলেও শিক্ষার্থীরা এসে পড়ায় স্কুলগুলোতে উপস্থিতি আগের থেকে তিনগুন বেড়ে গেছে। ফলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমন বেড়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, কৌশলে প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা। এসাইনমেন্ট লেনদেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ভীড় ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
আজ সকালে রানী বিলাসমনি সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের সাথে বাবা- মারাও উপস্থিত। শিক্ষার্থী বাবা মা সহ উপস্থিত হওয়ায় অতীতের চেয়ে ভীড় ভাড়ছে তিনগুন। একই সাথে সকল শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের উপস্থিতি দীর্ঘদিন পর স্কুল আঙিনা সরগরম হচ্ছে।
সারা জেলায় খবর নিয়ে জানা গেছে, প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একই অবস্থা। খোলার সময়ের মতই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যথানিয়মে যথারীতি চলছে। এসাইনমেন্ট বুঝিয়ে দেয়ার জন্য ক্লাশও হচ্ছে। যে সকল স্কুলে ক্লাশ টিচাররা কোচিং করতেন বাসায় বা অন্য জায়গায়, তাদের কেউ কেউ এসাইনমেন্টের অজুহাতে স্কুল কক্ষেই লেখাপড়া করাচ্ছেন।
সাধারণ মানুষ বলছেন, বন্ধ থাকা স্কুলগুলো কৌশলে খুলে দেয়ায় ও স্কুল কর্তৃপক্ষের ক্ষুদে বার্তায় গার্ডিয়ানদের উপস্থিতি, করোনা সংক্রমনকে বৃদ্ধি করতে পারে বলে আশংকা রয়েছে।
এ বিষয়ে রানী বিলাসমনি সরকারী বালক উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহীনা বেগম জানান, মাউশির নির্দেশনা মোতাবেক গার্ডিয়ানদের ডাকা হয়েছে এসাইনমেন্ট নেয়ার জন্য কিন্তু শিক্ষার্থীদের ডাকা হয়নি। অনেক দিন ঘরে বসে থাকায় বাচ্চারাও চলে এসেছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করা হচ্ছে।