ম্যারাডোনার শেষ বিদায়ে শ্রদ্ধা জানাতে বুয়েন্স আয়ার্সের রাস্তায় নেমে এসেছে হাজারো আর্জেন্টাইন। আর্জেন্টিনা মানেই ম্যারাডোনা, ম্যারাডোনা মানেই আর্জেন্টিনা-তাদের মাতমে সেটাই যেন আরও একবার নতুন করে প্রমাণ হলো। পড়েছিল কান্নার রোল। চোখের জলে ভিজেছেন সবাই। এর মধ্য দিয়েই আর্জেন্টিনার প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেস কাসা রোসাদা থেকে সমাধিক্ষেত্র বেল্লা ভিস্তার দিকে যাত্রা করে ম্যারাডোনার কফিনবহনকারী গাড়ি। পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনদের উপস্থিতিতে হয়েছে তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠান। এরপর সমাহিত করা হয় আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিকে।
তার আগে বুয়েন্স আয়ার্সের সিটি স্কয়ার প্লাজা দে মায়ো থেকে সারি বেঁধে ম্যারাডোনাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে দাঁড়িয়ে যান ভক্তরা। তখন লোকে লোকারণ্য ছিল পুরো এলাকা।
সাধারণ জনতার জন্য ম্যারাডোনাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে প্রায় ১০ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সবার আগে ম্যারাডোনাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান তাঁর পরিবার ও ঘনিষ্ঠরা। এরপর জনতাকে সুযোগ দেওয়া হয়। তবে ততক্ষণে ঢল নামা ভক্তদের চাপ সামলাতে হিমশিম খেয়েছে বুয়েন্স আয়ার্সের পুলিশ। কিন্তু পুলিশ চাপ সামলাতে পারেনি। ’৮৬ বিশ্বকাপ কিংবদন্তিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসে পুলিশের সঙ্গে লেগে যায় ভক্তদের।
আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভক্তদের উত্তেজনা প্রশমনে কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও জলকামান ব্যবহার করেছে পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে তার ভিডিও। ভক্তরাও কম যাননি। তাঁরা বেড়া ভেঙে কিংবা ডিঙিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন ম্যারাডোনাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর সীমানার মধ্যে। বোতল ও বেড়া তুলে ছুড়েও মেরেছেন কেউ কেউ।
এদিকে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির মৃত্যুর তদন্ত দাবি করেছেন আইনজীবী মাতিয়াস মোরলা। তাঁর অভিযোগ, ম্যারাডোনার মৃত্যুর আগে ১২ ঘণ্টায় নাকি তাঁর কাছে যাননি কোনো চিকিৎসক, অ্যাম্বুলেন্স আসতেও আধা ঘণ্টার মতো দেরি হয়েছে।