অনলাইনে নয়, সরাসরি পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি

Slider শিক্ষা

Activists of Hindu Sena, a right wing group, take part in a prayer ceremony for the victory of US President Donald Trump in the US presidential elections in New Delhi on November 3, 2020. (Photo by Prakash SINGH / AFP)

করোনাভাইরাসের কারণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার যে প্রস্তাব করা হয়েছিল তা বাতিল করা হয়েছে। ফলে এবার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর যে সফটওয়্যার প্রস্তাব করেছিলেন- তা বিশেষজ্ঞ কমিটি নাকচ করে দিয়েছে। এ সফটওয়্যার ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার মতো প্রয়োজনীয় সক্ষমতা অর্জন তৈরি হয়নি। ফলে এবার যে পদ্ধতিতেই ভর্তি পরীক্ষা হোক না কেন সরাসরিই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে হবে।

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত এক সভায় বিশেষজ্ঞরা উল্লেখিত মতামত ব্যক্ত করেন। সংস্থাটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে এই সফটওয়্যারের পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সফটওয়্যারটি পর্যালোচনা করে বিশেষজ্ঞরা জানান, সফটওয়্যার দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার মতো সক্ষমতা দেশে এখনও তৈরি হয়নি। এই সফটওয়্যার দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিতে গেলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। নেটওয়ার্ক এবং টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর মূল্যায়ন সঠিক নাও হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছোট্ট পরিসরে পরীক্ষা গ্রহণ ও মূল্যায়নে এ ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করা যেতে পারে। এই সফটওয়্যারের অধিকতর উন্নয়ন প্রয়োজন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বের কোনো দেশে একটি মাত্র সফটওয়্যার দিয়ে বড় পরিসরে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয় না। সফটওয়্যার দিয়ে যদি ভর্তি পরীক্ষা নিতে হয় সেক্ষেত্রে ইউজিসিকে সবার আগে একটি নীতিমালা প্রণয়ণ করতে হবে।

সভায় মুনাজ আহমেদ নূরও স্বীকার করেন, তার সফটওয়্যারটি মূলত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা মূল্যায়নের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার জন্য উপযোগী নয়।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ভিসি জানান, বৈঠকে যে সফটওয়্যার প্রস্তাব করা হয়েছে সেটি নতুন নয়। চীনে এ ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করে বর্তমানে পরীক্ষা নেয়ার কাজ চলছে।

সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মোস্তফা আকবরসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সফটওয়্যার বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *