দেশের ৫ ভাগ মানুষের কাছে ৯৫ ভাগ সম্পদ : নজরুল ইসলাম

Slider রাজনীতি

ঢাকা: বাংলাদেশের শতকরা পাঁচ ভাগ মানুষের হাতে দেশের ৯৫ ভাগ সম্পদ রয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, দেশে দারিদ্র্য বাড়ছে, বাড়ছে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা।

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘রুখো আগ্রাসন, হটাও দুঃশাসন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশ লেবার পার্টির (একাংশের) ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

নজরুল বলেন, আজকে আমাদের সরকার এবং কিছু কিছু লোক খুব আনন্দ ভোগ করেন যে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে। আমাদের দেশের যারা অর্থনীতিবিদ, আমাদের দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠান, তারা যে রিপোর্ট করছে এবং পাশাপাশি আন্তর্জাতিক রিপোর্টগুলো যদি পর্যালোচনা করি তাহলে আমরা দেখছি যে, বাংলাদেশের মাত্র শতকরা পাঁচ ভাগ মানুষের হাতে দেশের ৯৫ ভাগ সম্পদ। কাজেই এই উন্নয়ন কার? এই উন্নয়ন ওই ভাগ্যবান শতকরা পাঁচ ভাগ মানুষের।

বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরামের এই সদস্য বলেন, দেশে দারিদ্র্য বাড়ছে, দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বেকারত্ম বাড়ছে, ভূমিহীন বাড়ছে। তাহলে উন্নয়নটা কোথায়? বড় বড় ব্রিজ, বড় বড় বাড়ি, চমৎকার চমৎকার গাড়ি- এটা তো উন্নয়নের প্রমাণ নয়।

নজরুল বলেন, এডিবির একটা রিপোর্ট বেরিয়েছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, এশিয়ার ৩০টা দেশের একটা জরিপ করা হয়েছে কোন দেশের মানুষ কতটা সুখী। ওই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থা ২৬। অর্থাৎ, বাংলাদেশের চেয়ে কম সুখী মাত্র চারটা দেশ। তাহলে যে প্রবৃদ্ধির কথা বলা হয়, যে উন্নয়নের কথা বলা হয় সেই প্রবৃদ্ধি বা উন্নয়ন তো আমার বাংলাদেশের জনগণকে সুখ-শান্তি-স্বস্তি-নিরাপত্তা কোনোটাই দিতে পারে নাই। কারণ দেশের জনগণের মৌলিক অধিকার, যে জনগণ নিশ্চিন্তে, নির্বিঘ্নে তার অধিকার প্রয়োগ করে, তার পছন্দ মতো প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন এবং সেই প্রতিনিধিরা তার কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, এই অবস্থা আমাদের দেশে নাই।

বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওঃ আবদুল হালিম, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, পিপলস পার্টির মোস্তফিজুর রহমান মোস্তফা, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, লেবার পার্টির ফরিদ উদ্দিন, মোসলেম উদ্দিন, রামকৃষ্ণ সাহা, ফারুক রহমান, হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তৃতা করেন। এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল ইসলাম নুর বক্তব্য রাখেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *