শ্রীপুরে কিশোরীকে গোপন কক্ষে আটকে রেখে ধর্ষণ, শিক্ষক গ্রেফতার !

Slider নারী ও শিশু

রাতুল মন্ডল নিজস্ব প্রতিনিধি: বাবা ও মায়ের সাথে গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণ সালনা এলাকায় থাকতো হতদরিদ্র পরিবারের ১৩বছর বয়সী এক কিশোরী।

অসহায় হয়ে পড়ায় লেখাপড়ার সুযোগ বি ত হচ্ছিল এই কিশোরী। এমন অবস্থায় এই পরিবারটির অসহায়ত্বকে পুঁজি করে কিশোরী মেয়েকে কম খরচে লেখাপড়ার প্রস্তাব দেন এক মাদ্রাসা শিক্ষক। শিক্ষকের এমন প্রস্তাবটি লুফে নেন কিশোরীর পিতা। মেয়ের জীবন গড়ে তোলার নিশ্চয়তা পেয়ে সে পিতৃতুল্য শিক্ষকের হাতে কিশোরী মেয়েকে তুলে দেন গত ২ আগষ্ট। পরে কিশোরীকে একই জেলার শ্রীপুরের ধলাদিয়া এলাকার একটি মাদ্রাসায় ভর্তির কথা বলে সেখানে নিয়ে একটি কক্ষে কিশোরীকে আটকে ফেলেন। এর পর থেকেই কিশোরীকে যৌন নিপিড়ন শুরু করেন এই শিক্ষক। কিশোরী ও তার পিতাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করতে থাকেন গত ৩মাস ধরে। এরই মাঝে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে কিশোরীকে জিম্মি করেন। এরই মাঝে একাধিকবার মেয়ের অবস্থার কথা জানতে চেয়ে মুঠোফোন করলে এই শিক্ষক তাদের মেয়ে ভালোভাবে লেখাপড়া করছে বলে জানাতো। এভাবে ৩মাস অতিবাহিত হওয়ার পর কিশোরীর পিতার সন্দেহ তৈরী হলে সে খোঁজ নিতে ধলাদিয়া এলাকায় শিক্ষকের দেয়া তথ্য মতে মাদ্রাসায় এসে তার মেয়ের দেখা পাননি। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তার কিশোরী মেয়েকে গোপন একটি স্থানে আটকে রেখেছেন এই শিক্ষক।

এমন অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করতে স্থানীয়ভাবে চেষ্টা করে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয় কিশোরীর পিতা। পরে সে র‌্যাবের কাছে অভিযোগ দেন। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে র‌্যাব গাজীপুরের অভিযানিক দল গাজীপুরের সালনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মাদ্রসা শিক্ষক আসাদুজ্জামান(৩৫)কে গ্রেপÍার করেন। সে খুলনা জেলার কসবা উপজেলার উত্তর বেতকাশি এলাকার মোবারক হোসেনের ছেলে। শ্রীপুরের ধলাদিয়া এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ীর ভাড়াটিয়া।পরে অভিযুক্তের দেয়া তথ্য মতে ধলাদিয়া এলাকার একটি গোপন কক্ষ থেকে ভিকটিম কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
র‌্যাব-১ পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান,গ্রেপ্তারের পর অভিযুক্ত জানান তিনি পেশায় একজন মাদ্রাসার শিক্ষক এবং তার বিবাহিত স্ত্রী ও ২জন ছেলে সন্তান রয়েছে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *