মানববন্ধনে বাধা, ঘরেই প্রতিবাদ

বাংলার মুখোমুখি


সারা দেশে অব্যাহত ধর্ষণের প্রতিবাদে নাটোরের বড়াইগ্রামে প্রশাসন কর্তৃক মানববন্ধনে বাধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ‘আমি ও আমার দায়িত্ব’ নামের সংগঠনের ব্যানারে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপজেলার জোনাইল বাজারে মানববন্ধন করতে চাইলে স্থানীয় প্রশাসন এতে বাধা দেয়। পরে তারা ঘরের মধ্যে মানববন্ধন করেন। ধর্ষণ বন্ধ করো এই স্লোগানকে সামনে রেখে মঙ্গলবার জোনাইল বাজার আগষ্টিন সুপার মার্কেটের ভেতরের একটি রুমে তারা মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেয়া মন্টু ডানিয়েল মানবজমিনকে জানান, দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এটা আমার অধিকার। সারা দেশে ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন, বিক্ষোভ হচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতে আমরাও মানববন্ধন করতে চেয়েছি।
কিন্তু প্রশাসন আমাদের নিষেধ করেছে। তিনি বলেন, আমার ছেলেরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে মানববন্ধনে যোগদানের জন্য বলতে গেলে তিনি মানববন্ধন করা যাবে না বলে জানান। এ সময় মানবন্ধনে সরকারের নিষেধাজ্ঞা আছে বলে জানায় চেয়ারম্যানের লোকজন। পরে বড়াইগ্রাম থানার এস আই আনোয়ার হোসেন উন্মুক্ত স্থানে মানববন্ধন না করে ঘরোয়াভাবে প্রোগ্রাম করার কথা বলেন। আমরা উপায় না পেয়ে পরবর্তীতে ঘরেই কর্মসূচি পালন করি। মন্টু ডানিয়েল আরো বলেন, শুধু জোনাইল নয় প্রশাসন উপজেলার কোথাও মানববন্ধন কারার অনুমতি দেয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মানববন্ধনে অংশ নেয়া এক শিক্ষার্থী জানান, আমরা প্রথমে মানববন্ধনে যোগ দেয়ার জন্য চেয়ারম্যানকে আমন্ত্রণ জানাতে যাই। তাকে আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু চেয়ারম্যান উল্টো আমাদের মানববন্ধন করতে নিষেধ করেন। এ সময় পাশ থেকে তার লোকজন বলেন সরকারের নিষেধ আছে। জোনাইল ছাড়াও উপজেলার কোথাও মানববন্ধন করতে অনুমতি দেয়া হয়নি। আমরা লক্ষীকুল বাজারে করতে চেয়েছি সেখানেও পুলিশ বাধা দিয়েছে। এ অবস্থায় আমরা ঘরেই প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার এস আই আনোয়ার হোসেন মানবজমিনকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা হলো- মানববন্ধন বা কোন কর্মসূচি করতে হলে আগে থেকে অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু তারা আমাদেরকে না জানিয়েই মানববন্ধনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এর প্রেক্ষিতে আমরা তাদেরকে নিষেধ করেছি।

তবে এ বিষয়ে মন্টু ডানিয়েল জানান, সারা দেশেই এখন ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ হচ্ছে। আমরা একটা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে চেয়েছি। এখানে অনুমতির দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। কারণ এটা আমার নাগরিক অধিকার। তারপরও আমরা প্রশাসনকেতো জানিয়েছি কিন্তু তারা ঘরের মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠান করতে বলেছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *