ঢাকা: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও সরিয়ে নেয়া হয়েছে কি-না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। তবে এ বিষয়ে মূল আদেশ দেয়ার জন্য বেলা ২টার পর সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত। এ ছাড়া ভিকটিমের নিরাপত্তা ও ব্যর্থতার দায়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পৃলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসককে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত।
আজ সোমবার গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হলে তা আমলে নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শমীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ স্বঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।
আদালতে বিষয়টি নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও জেড আই খান পান্না। ভার্চুয়ালে সংযুক্ত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট এএম আমিন উদ্দিন।
উল্লেখ্য, গত ২রা সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে ওই গৃহবধূর বসতঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রাখেন স্থানীয় বাদল ও তার সহযোগীরা। এরপর গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তারা।