নারায়ণগঞ্জে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষিত

Slider নারী ও শিশু


নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে কিশোরী দুই স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এদের একজন ৬ষ্ঠ শ্রেণি ও অপরজন ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এবং সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো বোন। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলো-বন্দর উপজেলার ফুলহর এলাকার জয় মিয়ার ছেলে রিফাত (১৯) ও একই এলাকার রমিজ উদ্দিন রমু মিয়ার ছেলে রিফাত (২০)। তবে পলাতক রয়েছে তাদের সহযোগি বন্দরের নবীগঞ্জস্থ রুপনগর এলাকার ভুট্টো সুমন। এ ঘটনায় ধর্ষিতাদের পরিবার বন্দর থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন।

মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ধর্ষিতা দুই শিক্ষার্থীকে ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে আদালতে পাঠায়। আদালতে তারা ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
পরে আদালত তাদের পরিবারের জিম্মায় দেন। ওদিকে গ্রেপ্তারকৃত দুইজনকে পৃথক দুইটি মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও মামলার সূত্রমতে, গত ২১শে সেপ্টেম্বর বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকার স্থানীয় স্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী (১৩) ও তার মামাতো বোন একই এলাকার একটি মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে বাসা থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে ফিরেনি। ওই দিন রাতেই পরিবারের পক্ষ থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় জিডি করা হয়।

এদিকে দুই শিক্ষার্থীর পরিবার সোমবার রাত প্রায় ১১টায় জানতে পারে বন্দর উপজেলার ফুলহর এলাকার রমিজ উদ্দিন রমু মিয়ার ছেলে রিফাত একই এলাকার জয় মিয়ার ছেলে রিফাতের হেফাজতে রয়েছে তাদের মেয়েরা। পরে তারা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার ও দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত দুই যুবক জানায়, তারা দুই পৃথকভাবে দুই শিক্ষার্থীকে বিয়ে করেছে। তবে শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফখরুদ্দীন ভূইয়া জানান, দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের হয়েছে। দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। দুই শিক্ষার্থীর ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তারা আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। তিনি আরও জানান, পলাতক আরেক আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।

ওদিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ফারুক জানান, ২১শে সেপ্টেম্বর বিকালে দুই শিক্ষার্থী বাসা থেকে বেরিয়ে গিয়ে আর ফিরে না আসায় রাতেই পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় পৃথক দুটি জিডি করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *