আদেশ পরিবর্তন: ৭ আসামীই ৭ দিনের রিমান্ডে

Slider জাতীয় বাংলার আদালত

কক্সবাজার: আদালতের আদেশ পরিবর্তন হয়েছে। এবার ওসি সহ ৭ আসামীর প্রত্যেকের ৭ দিন করে রিমান্ড দিয়েছে আদালত। পলাতক দুই আসামীর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারী হয়েছে।

এর আগে আদালত ওসি ও দুই এস আইয়ের তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছিল।

প্রসঙ্গত: টেকনাফে পুলিশের গুলিতে মেজর সিনহার মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ লিয়াকতসহ ৩ জনের ৭ দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ৪ জনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসবাদের নির্দেশ এবং পলাতক দু’জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। র্যা বের করা রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ রাত ৮টায় এ আদেশ দেন কক্সবাজারের একটি আদালত। প্রত্যেক আসামির ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়েছিল র্যা ব। পরবর্তি সময় আদালত আদেশ পরিবর্তন করে ৮ আসামীরই ৭ দিন করে রিমান্ড দেয়।

এর আগে আদালতে হাজির হয়ে আসামীরা আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন।

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য হলেন, এসআই দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং এএসআই লিটন মিয়া। মামলার বাকি দুই আসামি এসআই টুটুল ও কনস্টেবল মো. মোস্তফা এখনও পলাতক বলে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি ফরিদুল আলম জানান।

এরে আগে দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ লাইন্স হাসপাতাল থেকে ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয় বলে জানান চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুবর রহমান। ওই সময় তিনি আরো বলেন, চিকিৎসা নিতে আসলে ওসি প্রদীপকে হেফাজতে নেয়া হয়।

এখন তাকে বিশেষ নিরাপত্তায় কক্সবাজার আদালতে পাঠানো হচ্ছে। সেখানে তিনি আত্নসমর্পণ করবেন। তাকে আটক বা গ্রেপ্তার বলা যাবে না। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, টেকনাফে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর রাশেদ সিনহা নিহতের ঘটনায় টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে প্রত্যাহার করা হয়। প্রত্যাহারের একদিন আগে নিজেকে অসুস্থ’ দাবি করে ছুটি নেন তিনি।

এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। কিন্তু আদালতের গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী থাকায় তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। পুলিশ হেফাজতে তিনি এখন কক্সবাজারের পথে। সন্ধ্যার দিকে তাকে কক্সবাজার আদালতে তোলা হতে পারে।

উল্লেখ্য, ৩১ আগস্ট (শুক্রবার) রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এ ঘটনায় বুধবার কক্সবাজারে টেকনাফ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে ওসি প্রদীপ ও মো. লিয়াকতসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত সাবেক মেজর সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে টেকনাফ থানার ওসিকে মামলাটি এফআইআর হিসাবে রুজু এবং র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যা ব-১৫) তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপর এই ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। এ ঘটনায় ৯ পুলিশ সদস্যসহ ১৭ জনকে প্রত্যাহার করেছে পুলিশ বিভাগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *