খুলনায় তিন গ্রামবাসীর খুনী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

Slider বাংলার মুখোমুখি


খুলনা: খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী থানার মশিয়ালী গ্রামে নিরীহ গ্রামবাসীর ওপর গুলি চালিয়ে তিনজনকে হত্যার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত শেখ জাফরিন হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেল ৫টায় যশোরের বাঘারপাড়া থেকে নগর গোয়েন্দা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। শেখ জাফরিন হাসান মশিয়ালী গ্রামের মৃত হাসান আলী শেখের ছেলে এবং খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। সংগঠনবিরোধী কর্মকা-ের অভিযোগে ইতোমধ্যে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত জাফরিন হত্যাকান্ডে মূল অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত নেতা শেখ জাকারিয়ার ভাই।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খোন্দকার লুৎফুল কবির জানান, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় যশোরের বাঘারপাড়া থেকে শেখ জাফরিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খুলনায় এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অন্যদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কানাই লাল সরকার জানান, ঘটনার মূলহোতা জাকারিয়ার অন্যতম সহযোগী ও সহোদর জাফরিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার (১৭ জুলাই) জাফরিনের ভাই গুলিবর্ষণকারী জাকারিয়ার শ্বশুর কোরবান আলী, শ্যালক আরমান ও চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীরকে আটক করা হয়।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মুজিবর নামে এক ব্যক্তিকে অস্ত্রসহ খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া এবং তার ভাই জাফরিন ও মিল্টন পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় গ্রামের বেশ কয়েকজন জাকারিয়ার বাড়িতে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে যায়। এ সময় জাকারিয়ার সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জাকারিয়া, জাফরিন কবির ও মিল্টন তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। গুলিতে মারা যান আটরা গিলাতলার মশিয়ালী এলাকার নজরুল ইসলাম (৬০) ও একই এলাকার ইউনুচ আলীর ছেলে গোলাম রসুল (৩০)। এ সময়ে গুলিবিদ্ধ হন সাইফুল ইসলাম, আফসার শেখ, শামীম, রবি, খলিলুর রহমান ও মশিয়ার রহমানসহ আরও কয়েকজন। এর মধ্যে আহত সাইফুল ইসলাম শুক্রবার রাতে মারা যান। অপরদিকে, গণপিটুনিতে জাকারিয়া বাহিনীর সদস্য জিহাদ শেখকে মারা যায়। এ ঘটনায় চারজন নিহত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *