খুলনা: খানজাহান আলী থানার মশিয়ালী এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনায় আরও দুইজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ৪।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন সাইফুল ইসলাম (২৭) মারা যায়। এছাড়া ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী প্রতিপক্ষের জিহাদ নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সাড়ে ৮টার দিকে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নজরুল ফকির (৪৫) ও গোলাম রসুলের (৩৫) মৃত্যু হয়। নিহতদের সকলের বাড়ি খানজাহান আলী থানার মশিয়ালী এলাকায়।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কানাই লাল সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী জানায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। মশিয়ালী এলাকায় প্রভাবশালী শেখ জাকারিয়া হোসেন এবং তার দুই ভাই জাফরিন ও মিল্টনের বাহিনীর সাথে এলাকার ফকির গংদের এ সংঘর্ষ হয়। অস্ত্রসহ এক সন্ত্রাসীকে আটকের ঘটনায় পরস্পরকে দোষারূপ করে সংঘর্ষে জড়ায় দু’পক্ষ।
এক পর্যায়ে ফকির গংরা ওই তিন ভাইয়ের বাড়িতে হামলা চালাতে যায়। এসময় জাকারিয়া বাহিনী গুলি চালালে ফকির গংদের ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এরপর দফায় দফায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। রাতে এলাকার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোক জড়ো করে জাকারিয়ার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন ধরানো হয়।
হামলার ঘটনায় নাম উঠে আসা জাকারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক এবং জাফরিন খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সহ-সভাপতি বলে জানা যায়।
এ ঘটনায় খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মশিয়ালী গ্রামের আফসার শেখ (৬৫), ইব্রাহিম শেখ (২৬), জুয়েল শেখ (৩৫), রানা শেখ (২২), রবি শেখ (৪০) ও শামীম শেখ (২৫)। এরা সকলেই একই বংশ ও পরিবারের সদস্য।
খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।