টাঙ্গাইলে প্লাবিত হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম; চরম দুর্ভোগে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ

Slider জাতীয়

সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইল জেলার প্রায় প্রত্যেকটি নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে প্লাবিত হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। একদিকে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক, অন্যদিকে পানিবন্দি হয়ে পড়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন টাঙ্গাইল জেলার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। এর মধ্যে যমুনা, ঝিনাই ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গতকাল বুধবার (০১ লা জুলাই) যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরী নদীর পানি ৪৮ সেন্টিমিটার ও ঝিনাই নদীর পানি ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

টাঙ্গাইল জেলার সব নদীর পানি বাড়ায় টাঙ্গাইল সদর, ভূঞাপুর, কালিহাতী, গোপালপুর ও নাগরপুর উপজেলার নদীর তীরের চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া, হুগড়া, কাতুলী, মামুদনগর, ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা, অর্জুনা, গোবিন্দাসী, নিকরাইল, কালিহাতী উপজেলার দুর্গাপুর, গোহালিয়াবাড়ি, সল্লা, দশকিয়া, গোপালপুর উপজেলার হেমনগর, নগদাশিমলা, ঝাউয়াইল এবং নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ, ভাড়রা, মোকনা, পাকুটিয়া ইউনিয়নের অর্ধশত গ্রাম সম্পূর্ণ ও শতাধিক গ্রাম আংশিক প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে বন্যা কবলিত ও চরাঞ্চলের মানুষ তাদের বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাচ্ছে। প্রায় ৩০ হাজার পরিবার ইতোমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

টাঙ্গাইল জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, “ক্রমাগত বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে টাঙ্গাইলের যমুনা, পুংলী, ঝিনাই, বংশাই ও ধলেশ্বরী নদীতে পানি বেড়েছে। এরই মধ্যে যমুনা, ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমলে তীব্র ভাঙন দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা আছে। নদ-নদীর পানি বাড়ায় ভাঙন কবলিত এলাকাগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভাঙন রোধে পাউবো কাজ করছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *