“বড় কবি, ছোট মন

Slider জাতীয় বিচিত্র সাহিত্য ও সাংস্কৃতি

ড. আসিফ নজরুল: করোনা শনাক্তকরণ কিট নিয়ে ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সমালোচনা করায় কবি নির্মলেন্দু গুণকে এক হাত নিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তিনি তার ফেসবুক পেজে লিখেন-

“বড় কবি, ছোট মন
করোনা শনাক্তকরনের কিট ডা: বিজন কুমার শীল উদ্ভাবন করেছেন, আর নাম কামাচ্ছেন ডা: জাফরুল্লাহ চৌধূরী – এধরনের একটি মন্তব্য করেছেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। তার এই মন্তব্য অনেককে আঘাত করেছে, আমাকেও।

প্রথমত: জাফরুল্লাহ চৌধুরী কখনো কিটটি উদ্ভাবনের কৃতিত্ব দাবী করেননি, তিনি বরাবর ডা: বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে পাচজনের একটি দল এটি করেছে বলেছেন। ডা: বিজন একজন অতুলনীয় মেধার উদ্ভাবক। কিন্তু তারপরও করোনার কিট আবিস্কার নিয়ে তার কথা আমরা যতোবার শুনেছি, তা আগে কখনো ততোটা হয়নি।তাহলে তার কৃতিত্ব ডা: জাফরুল্লাহ চৌধূরী নিলেন কোথায়? কেন তাহলে এ অভিযোগ?

দ্বিতীয়ত: নির্মলেন্দু গুণ এ উদ্ভাবনের জন্য ডা: বিজনের নাম নিলেও বাকী চারজনের নাম নেননি। বাকী চারজন হচ্ছেন ড. ফিরোজ আহমেদ, ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাশেদ জমিরউদ্দিন এবং ড. আহসানুল হক।তিনি এ চারজনের নাম নেয়া তো দুরের কথা কিটটি যে একটি দল উদ্ভাবন করেছে সেটিও বলেননি। ডা: বিজনের কৃতিত্ব নিয়ে উনার এতো আগ্রহ থাকলে, অন্যদের কৃতিত্বের বেলায় সেটা থাকলোনা কেন? নাকি উনার আসল উদ্দেশ্য ছিল শুধু ডা: জাফরুল্লাহকে হেয় করা?

এবার আসি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কৃতিত্বের কথায়। তাকে মানুষ এতো প্রশংসা করছে কারণ কিটটি উদ্ভাবনের পৃষ্ঠপোষক ও উদ্যেক্তা তিনি, গনস্বাস্থ্যের প্রধানও তিনি। এ কিট সরকারের কাছে অনুমোদন করার জন্য যে অবিচল সংগ্রাম তাও হচ্ছে তার নেতৃত্বে। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নাম তাহলে হবে না কেন? সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে নামটা তো উনি মিথ্যে বলে বা জোর করে নিচ্ছেন না। এটা হচ্ছে স্বত:ষ্ফূর্তভাবে। এর জন্য তিনি অভিযুক্ত হবেন কেন. অভিযোগই বা উঠবে কেন?

কবি গুণের কাছে প্রশ্ন: ব্র্যাকের কোন কাজটা স্যার আবেদ নিজ হাতে করতেন? কিন্তু আমরা কি ব্র্যাকের সব কৃতিত্ব মূলত জনাব আবেদকে দিতাম না? এরকম আরো বহু উদাহরন আছে, উদাহরন আছে বাংলাদেশের সরকারী অঙ্গনেও। কোন কিছু তার চোখে পড়লো না এতোবছরে, হৃদয় ভেঙ্গে গেল শুধু ডা: জাফরুল্লাহর প্রশংসায়?

নির্মলেন্দু গুণ বড় কবি। কিন্তু এধরনের অমূলক অভিযোগ করে তিনি ছোট মনের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের কবি বলে এখন নিজেকে পরিচয় দেন। আওয়ামী লীগের কোন নেতাও ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী সম্বন্ধে এমন অভিযোগ করেননি।

তার এমন আচরন তাই শুধু দু:খজনক না, বিস্ময়করও।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *