রংপুরের নারী ফুটবলারদের পাশে পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার

Slider খেলা জাতীয় রংপুর

কামরান হাবিব, রংপুর, প্রতিনিধি: করোনা সংক্রমন রোধে কোতোয়ালী থানা এলাকার নয়াপুকুর গ্রামে নারী ফুটবলারদের বাড়ি বাড়ি জেলা পুলিশের অর্থায়নে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন এসপি বিপ্লব কুুুুমার সরকার।

নিজেদের স্বপ্ন পুরোনের আশায় ছোট ছোট দল বেধে মাঠে আসে ওরা। ভোরে কিংবা বিকেলে। গায়ে রঙিন জার্সি। হাতে ফুটবল। চলে কঠোর অনুশীলন। লক্ষ্য লাল-সবুজের পতাকাবাহী দলে জায়গা করে নেয়া। ওরা পরিচয়ে নারী হলেও নিজেদের মানুষ ভেবে এগিয়ে যেতে চায় সামনে। এ কারণে অবহেলা, দারিদ্রতা বা সমাজের চোখ রাঙানি কিছুই দমাতে পারেনি ওদের। বরং অর্থনৈতিক-সামাজিক নানা প্রতিবন্ধকতাকে পেছনে ফেলে ওরা ছুটছে ফুটবলকে সামনে রেখে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে নারী ফুটবলারা যখন কর্মহীন হয়ে খাদ্যের সংকটে পড়েছে ঠিক তখনই রংপুরের পালিচড়ার সেই নারী ফুটবলারদের গ্রামের দরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর আইকন, বাংলাদেশ পুলিশের উজ্জ্বল নক্ষত্র, রংপুর জেলা পুলিশের সম্মানিত অভিভাবক, মানবিক পুলিশ সুপার, জনাব বিপ্লব কুমার সরকার বিপিএম ( বার) পিপিএম পুলিশ সুপার রংপুর।

২৯ এপ্রিল রোজ (বুধবার) বিকালে রংপুর সদর উপজেলার প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে সদ্যপুস্করণী ইউনিয়নের পালিচড়ার নয়াপুকুর এই ফুটবল কন্যাদের গ্রাম। এখান থেকে জাতীয় প্রমীলা ফুটবল দল সহ অনূর্ধ্ব ভিত্তিক দল ও বিভিন্ন ক্লাবে খেলছেন নয়জন। ওদের ফুটবল ম্যাজিকে নয়াপুকুর গ্রামটি এখন নারী ফুটবলারদের বাগান হিসেবে পরিচিত। সদ্যপুষ্করিনী ইউনিয়ন এর পালিচড়া নয়াপুকুরে ৫০ জন নারী ফুটবলারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রংপুর জেলা পুলিশের সম্মানিত অভিভাবক, মানবিক পুলিশ সুপার, জনাব বিপ্লব কুমার সরকার বিপিএম(বার)পিপিএম পুলিশ সুপার রংপুর এর পাঠানো উপহার (খাদ্য সামগ্রী) বিতরণ করেন রংপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) জনাব আবু তৈয়ব মোঃ আরিফ হোসেন ও সহকারী পুলিশ সুপার(এসএএফ) জনাব মোঃ আশরাফুল আলম এবং কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব এবিএম সাজেদুল ইসলাম।

এসময় নারী ফুটবলারদের কোচার মোঃ মিলন খান রাজ বলেন, একজন মানবিক পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার। এই দূর্যোগ কালীন মুহূর্তে দরিদ্র নারী ফুটবলারদের পাশে দাড়ানোয় আমরা রংপুর জেলা পুলিশের নিকট কৃতজ্ঞ। কোচার আরও বলেন,পুলিশ সুপার মহোদয় সব সময় পালিচড়ার এই নারী ফুটবলারদের পাশে থাকবেন। তিনি দুই খেলোয়াড় নাসরীন ও রুমির হাঁটুর লিগামেন্ট অপারেশন এরও দায়িত্ব নিয়েছেন।করোনা পরিস্থিতি ভালো হলে খুব দ্রুত তাদের এই অপারেশন করার ব্যবস্থা করা হবে। এমন দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে অনেকেই দেখেন। কেউ কেউ হাত উঁচিয়ে জেলা পুলিশ কে সাহস উৎসাহ দিচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *