নার্সের বিস্ফোরক দাবি, করোনা রোগীদের ভেন্টিলেটরে নিয়েই মেরে ফেলা হচ্ছে

Slider জাতীয় টপ নিউজ

ডেস্ক: নিউইয়র্কের হাসপাতালগুলোতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের ভেন্টিলেটরে রাখার মাধ্যমে খুন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে এক মার্কিনি নার্স। সম্প্রতি ‘সারা এনপি’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে এক ভিডিও বার্তায় এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন ওই নার্স। তবে এই নারী নিউইয়র্কের কোন হাসপাতালে কাজ করছেন সে সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। এক বিশ্বস্ত বন্ধু- যিনিও একজন নার্স, তার সূত্রে ওই নারী ভিডিওতে দাবি করেন, এটা যেন একটা হরোর মুভি (ভৌতিক সিনেমা)। রোগের কারণে নয় তাদেরকে যেভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তাতে করেই প্রাণ হারাচ্ছেন অসংখ্য রোগী। খবর ডেইলি মেইলের।

ওই নার্স জানান, ‘হাসপাতালে নেওয়ার পর রোগীর আত্মীয় ও স্বজনদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যেন, হাসপাতালে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের রোগীকে কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস (ভেন্টিলেটর) নেওয়ার ব্যবস্থা করে না দেওয়া হয়।’ বন্ধুর দেওয়া তথ্যানুযায়ী তিনি আরও বলেন, ‘আমি এখানে তার হয়ে কথা বলছি। আমি আপনাদেরকে এখন সেটাই বলবো সে আমাকে যা বলেছে। সে চায় হাসপাতালের ভেতরকার বর্তমান এই মর্মান্তিক পরিস্থিতি জনসম্মুখে আসুক। মানুষ হাসপাতালের ভেতরের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে জানুক।’

তার ভাষায়, ‘মানুষ অসুস্থ হচ্ছে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গরুতর অসুস্থ রোগীদের সেবা দিচ্ছে না। তারা এসব রোগীকে সাহায্য করার পরিবর্তে তাদেরকে মেরে ফেলছে। আর তাতে কেউ ভ্রুক্ষেপও করছে না। তার জীবনে সে এমন করে কোনো রোগীকে অবহেলার স্বীকার হতে দেখেনি।’ ওই নার্স এই পদ্ধতিতে পরিকল্পিত হত্যকাণ্ড হিসেবে অভিহিত করে আরও জানান, রোগীদেরকে মর্মান্তিকভাবে পচেগলে প্রাণ হারাতে হচ্ছে। মানুষগুলোকে এভানে মেরে ফেলা হচ্ছে কিন্তু কেউ কিছুই মনে করছে না।’

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়াল। মৃত্যু হয়েছে ৫৭ হাজারেরও বেশি মানুষের। মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্যে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যমতে- দেশটিতে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ২ হাজার ৪৯৮ জন। মারা গেছেন ৫৭ হাজার ২৬৬ জন। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু নিউইয়র্কে। ২২ হাজার ৬৬৮ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৯১ হাজার ৯৯৬ জন। এরপরেই আছে নিউজার্সি। সেখানে ১ লাখ ১১ হাজার ১৮৮ জন আক্রান্ত এবং মারা গেছেন ৬ হাজার ৪৪২ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *