মো: সাজ্জাত হোসেন, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি: কালীগঞ্জে মহামারী করোনা ভাইরাসের (COVID-19) সংক্রমনে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৮ জন ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হওয়ার, নতুন নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসা সেবায় চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। এই বিপর্যয় কাটিয়ে নতুন নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করেছেন কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোপাইটর (সিএইচসিপি) কর্মীরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ছাদেকুর রহমান আকন্দ বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে নিজ উদ্যোগে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩২ জন ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা পরীক্ষা করে, ১৮ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে। তাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিজস্ব কোয়াটারে হোম আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমতাবস্থায় নতুন নমুনা সংগ্রহ ও সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবায় চরম অবনতি ঘটেছে।
তিনি আরো বলেন, এই সমস্যা উত্তোরনে কালীগঞ্জে ৩১ টি কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত সকল কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোপাইটর (সিএইচসিপি) কর্মীদের, নমুনা সংগ্রহের জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি ৮ সদস্য বিশিষ্ঠ একেকটি টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তারা বর্তমানে ক্লিনিকে ও মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন নমুনা সংগ্রহ করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করেছেন। এক্ষেত্রে কোন করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেলে ঐ এলাকার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে, হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে চান্দাইয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোপাইটল (CHCP) মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৮ জন ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশনে আছেন। তাই করোনা পরীক্ষার জন্য নতুন নমুনা সংগ্রহ এবং সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবায় নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলশ্রুতিতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ছাদেকুর রহমান আকন্দের তত্ত্বাবধানে, নতুন নমুনা সংগ্রহ করার জন্য কালীগঞ্জে বিদ্যমান ৩১টি কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত সকল সিএইচসিপি কর্মীদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের ৮ সদস্যের একেকটি টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। আমি টিম প্রধান হিসাবে বাকি সদস্যদের সহায়তায় এ পর্যন্ত ৪৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছি। তারমধ্যে ১ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।