কলকাতা: আশংকাই শেষ পর্যন্ত সত্যে পরিণত হলো। শুক্রবার বিকেলে সুগার লেভেল নিচে নেমে যাওয়ায় এম আর বাঙুর হাসপাতালে আজকাল পত্রিকার চিত্র সাংবাদিক রনি রায়ের মৃতদেহ পরীক্ষা করে করোনা ভাইরাস এর সন্ধান মিলল। হাসপাতালের ব্যাবস্থাপনায় শেষকৃত্যের পরই রনির ভাইকেও ভর্তি করে নেয়া হলো বাঙুর হাসপাতালে। এই ভাইয়ের কোলে মাথা রেখেই রনি রায় শুক্রবার শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেছিলেন। রনি রায় এর মৃত্যু যেন এক নীরব শিক্ষা দিয়ে গেল সাংবাদিককুলকে। কলকাতায় করোনা আক্রান্ত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজ অনেক দোকানপাটও খুললো দেশের অন্য অংশের মতোই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নির্দেশ জারি করে মল এবং ডিপার্টেল স্টোরগুলো ছাড়া নয়া দোকান খোলার ছাড়পত্র দিয়েছে। এরই মাঝে পঞ্চায়েত দিবস উপলক্ষে আজ সারা দেশের পঞ্চায়েত প্রধানদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
লকডাউন এক একদিন এক একরকম গামছা মুখে বাঁধছেন প্রধানমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রথম ভিডিও কনফারেন্স এর দিনে মণিপুরি গামছা, দ্বিতীয় দিনে অসম এর গামছা এবং আজ উত্তর পূর্বাঞ্চলের গামছা মুখে বেঁধে বসেছিলেন। পোশাকি মাস্ক ছাড়া যে গামছাতেও মুখ ঢাকা যায় তা বোঝাতেই তাঁর এই প্রয়াস। পঞ্চায়েত প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম নিয়ে কথা বলা ছাড়াও মোদি সবাইকে জিজ্ঞাসা করেন লকডাউনে তাঁরা কতটা অসুবিধায় আছেন? সবাই সমস্বরে জানান, সমস্যা আছে, কিন্তু তাঁরা লকডাউনের দরকার টাও বুঝতে পারছেন।