চট্টগ্রামে ত্রাণের জন্য বিক্ষোভ, গাড়ি থেকে খাবার লুট

Slider চট্টগ্রাম জাতীয়

চট্টগ্রাম: করোনার প্রভাবে বন্ধ হয়ে গেছে খেটে খাওয়া মানুষের কর্মের চাকা। ক্ষুধার কাছে হেরে হিংস্র হয়ে ওঠছে মানুষ। ক্ষুধার তাড়নায় শনিবার দুপুর ২টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরের বড়পুল এলাকায় সড়কে নেমে ত্রাণের জন্য বিক্ষোভ করছিল খেটে খাওয়া কিছু সিএনজি অটোরিকশা চালক। এ সময় সড়কে খাদ্যপণ্যবাহী পদ্মা অয়েলের একটি পিকআপ থেকে খাবার লুট করে তারা।

একইভাবে শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকার সেন্টমার্টিন হোটেলের সামনে প্রধান সড়কে বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করে একটি পোশাক কারখানার কিছু শ্রমিক। তারাও মালবাহী একটি গাড়ীর খাদ্যসামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ফ্রাংক গ্রুপের পোশাক কারখানার কয়েকশ শ্রমিক শনিবার দুপুরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। তাদের দাবি মার্চ মাসের বেতন ও ত্রাণ।
এ সময় সড়ক দিয়ে যাওয়া একটি মালবাহী গাড়ী থেকে কয়েক বস্তা চাল ও কয়েক কার্টন ফল নিয়ে চলে যায় অবরোধকারীরা। ওই সময় পুলিশ শ্রমিকদের কাছ থেকে ফলের ১টি কার্টন উদ্ধার করলেও বাকিগুলো পারেনি।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সদীপ দাশ বলেন, শতাধিক শ্রমিক রাস্তায় অবস্থান নেয়। তারা বেতনের দাবিতে মিছিল করে। দ্রুত এ বিষয়ে মালিক পক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তারা আগামী ২৮ এপ্রিল বেতন ভাতা প্রদান করার অঙ্গীকার করে। এরমধ্যে তারা গাড়ী থেকে খাদ্যসামগ্রী লুট করে। এ বিষয়ে পুলিশ খোঁজ নিচ্ছে।

এদিকে বড়পুল এলাকায় খাবার লুট হওয়া পিকআপের চালক রবিউল আলম বলেন, রাষ্ট্রয়ত্ব তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েলের জন্য গাড়িতে মাছ, গরুর মাংস, চাল, আপেল, মাল্টাসহ বিভিন্ন ধরনের ফলমূল এবং চাল নিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু বড়পুল এলাকায় আমার গাড়ি আটকে রেখে অধিকাংশ মালামাল নিয়ে যায়।

হালিশহর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, অটোরিকশার চালকরা সড়কে জড়ো হয়ে ত্রাণের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। তাদের শান্ত করে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। মালামাল লুটের ব্যাপারে জানতে চাইলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *