নিম্নবিত্তদের ১০ টাকা কেজি দরে চাল দিতে ডিসিদের নির্দেশ

Slider জাতীয় বাংলার সুখবর


খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কোনো কার্ড নেই এমন দরিদ্র ও নিম্নবিত্তদের তালিকা করে কার্ডের মাধ্যমে ওএমএসের ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেয়ার নির্দেশ দিয়ে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) চিঠি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

বুধবার (১৫ এপ্রিল) খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে জেলা প্রশাসকদের কাছে এ নির্দেশ সম্বলিত চিঠি পাঠানো হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, এর আগে থেকে যারা ভিজিডি ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকাভুক্ত রয়েছেন, তাদের এ তালিকার বাইরে রেখে যাদের কার্ড নেই এমন দরিদ্র ও নিম্নবিত্তদের তালিকা তৈরি করে কার্ডের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি দরে মাসিক ২০ কেজি বা পাক্ষিক ১০ কেজি করে চাল করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিতরণ করতে হবে।

চিঠিতে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বিগত বোরো ও আমন মৌসুমে খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সংগ্রহ অভিযানে নিজেদের সর্বোচ্চ শ্রম দিয়ে ধান-চাল সংগ্রহ করেছেন বিধায় সরকারি গুদামগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য মজুদ রাখা সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, এই মহামারি করোনার সময়ও খাদ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ডাক্তারদের মতোই জীবনবাজি রেখে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল শ্রমজীবী কর্মহীন মানুষের মধ্যে বিতরণ করে যাচ্ছেন।

এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সামনে বোরো মৌসুমেও তারা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে খাদ্য সংগ্রহ অভিযান সম্পন্ন করবেন।

তিনি খাদ্য অধিদফতরের এ কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত বিশেষ স্বাস্থ্য বীমার আওতায় আনার আহ্বান জানান।

খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে সবাইকে দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থেকে আন্তরিকতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। যদি কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন, তবে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে বিভাগীয় মামলাসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি ডিলারসহ যারাই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়বেন, ডিলারশিপ বাতিলসহ তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০ টাকা কেজির বিশেষ ওএমএসসহ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাৎ ও চুরি হওয়া চাল আটকের পর গত ১৩ এপ্রিল খাদ্য মন্ত্রণালয় এই কর্মসূচি স্থগিত করে ।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *