ঢামেকের সার্জারি বিভাগের একটি ইউনিট লকডাউন

Slider জাতীয় ঢাকা

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের ৫ নস্বর ইউনিট লক ডাউন করা হয়েছে। সার্জারি বিভাগের এই ইউনিটে ভর্তি এক রোগী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ইউনিটের অন্যান্য রোগীদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। আর সার্জারি বিভাগের যে চিকিৎসক ও নার্সরা মৃত ওই ব্যক্তিকে চিকিৎসা দিয়েছেন তাদেরকেও হোম কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) উপ পরিচালক ডা. আলাউদ্দিন আল আজাদ মানবজমিনকে বলেন, সার্জারি বিভাগে এক রোগী মারা গেছেন। করোনা পরীক্ষা করে তার রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।আমরা ওই ওয়ার্ডটি জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করেছি। আপাতত সেখানে কোনো রোগী নাই। আর যে চিকিৎসকরা ওই রোগীর সেবা দিয়েছেন তাদেরকে বাসায় থাকার কথা বলা হয়েছে। যদি কারো কোনো সমস্যা দেখা দেয় তবে ঢামেকে টেস্টের ব্যবস্থা আছে টেস্ট করা হবে।
আক্রান্ত হলে তাদেরকে আইসোলেশনে রাখা হবে।
এদিকে মৃত করোনা পজিটিভ ওই রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছেন এমন চিকিৎসক, নার্স ও ওয়ার্ড বয়কে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার জন্য হাসপাতালের পরিচালক বরাবর একটি আবেদন করেছেন সার্জারি বিভাগের সহকারি এক রেজিস্টার। আবেদনে তিনি বলেছেন, ৮ই এপ্রিল সার্জারি বিভাগের ২১৬ নম্বর ওয়ার্ডে গেণ্ডারিয়ার ৬৩ বছর বয়সী মুফতি আব্দুল্লাহ নামের এক রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। পরবর্তীতে রোগীর উপসর্গ ও দৈহিক পরীক্ষা এবং তার পূর্বের এক্সরে রিপোর্ট দেখে তাকে করোনা রোগী হিসেবে সন্দেহ হয়। এছাড়া ওই রোগী ঢামেকে ভর্তি হওয়ার আগে ঢাকার আসগর আলী হাসপাতালে শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ওই হাসপাতাল থেকে তার নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। কিন্তু রিপোর্ট প্রাপ্তির আগেই ওই রোগী মৃত্যুর ঝুঁকিপূর্ণ ছাড়পত্র নিয়ে তথ্যগোপন করে ঢামেকে এসে ভর্তি হয়। পরবর্তীতে তার করোনা পজিটিভ বলে জানা যায়। তাই সাধারন মানুষ ও চিকিৎসকদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে তাকে ওই রোগীকে চিকিৎসাদানকারী চিকিৎসক, নার্সদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার জন্য আবেদনে বলা হয়। ওই আবেদনে সার্জারির ৫ নং ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান, ৩ জন সহযোগী অধ্যাপক, ১ জন সহকারি রেজিস্টার, ১জন আইএমও, ২জন রেসিডেন্ট চিকিৎসক, ১জন ইন্টার্ন চিকিৎসক, ৬ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স ও ১ জন ওয়ার্ড বয়ের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *