ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে গুলশানে তার বাসায় নেয়া হচ্ছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির শীর্ষ নেতারা ও পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে রয়েছেন। এ সময় বিপুল সংখ্যক কর্মী ও সমর্থকরা হাসপাতালে সামনে ও রাস্তার দু’পাশে ভিড় করেন।
এর আগে বিএসএমএমইউ এর পিজন সেল থেকে খালেদা জিয়াকে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়। আজ দুপুরে খালেদা জিয়ার মুক্তির আদেশ পৌঁছায় আইজি পিজন্সের কাছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে দুই শর্তে তাকে মুক্তি দেয়া হলো। শর্ত অনুযায়ী তিনি এই সময়ে বিদেশ যেতে পারবেন না। নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে।
এদিকে মুক্তির খবর শুনে শত শত নেতা-কর্মীরা খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসার সামনে ভিড় করছেন।
গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদাকে মুক্তির সিদ্ধান্তের কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বয়স ও মানবিক বিবেচনায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায় মানবিক কারণে সরকার সদয় হয়ে দ-াদেশ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শর্ত হল- এই সময়ে খালেদা জিয়াকে ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে বন্দি আছেন খালেদা জিয়া। প্রথমে তাকে পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হলেও গত বছরের ১লা এপ্রিল থেকে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। দুই বছরের বেশি সময় ধরে কারাবন্দি খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ দাবি করে তার পরিবার ও বিএনপির তরফে মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছে। তার মুক্তির দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। সর্বশেষ বয়স ও মানবিক বিবেচনায় তাকে মুক্তি দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়।