হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপার একমাত্র সচল থার্মাল স্ক্যানারটিও অচল হয়ে পড়ায় গতকাল দিনভর হাতে চালানো থার্মোমিটার দিয়ে যাত্রীদের তাপমাত্রা মাপা হয়েছে। এর আগে এই বিমানবন্দরের তিনটি স্ক্যানারের দুটি বিকল হয়ে পড়ে। কয়েক দিন ধরে একটিমাত্র স্ক্যানার দিয়ে যাত্রীদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছিল। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. শাহারিয়ার সাজ্জাদ বলেন, যাত্রীদের মাত্রাতিরিক্ত চাপের কারণে থার্মাল স্ক্যানারটি বিকল হয়েছে। বিদেশ ফেরত যাত্রীদেরকে সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। অনেক সময় কোনো কোনো ফ্লাইটে ৪০০/৫০০ যাত্রী চলে আসে। বিমানবন্দরে আমাদের স্বাস্থ্য ডেস্ক মাত্রদুটি। আর কাজ করি ৬ জন লোক।
এত কম কর্মী দিয়ে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে। অনেক সময় যাত্রীরা অধৈর্য্য হয়ে চাপ সৃষ্টি করেন। এতে করে ভালো থার্মাল স্ক্যানারটি নষ্ট হয়ে গেছে। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে এখন হ্যান্ডহেল্ড ইনফ্রারেড থার্মোমিটার দিয়েই কাজ চলছে।
বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য ডেস্কসূত্রে জানা গেছে, ছয়টি দেশ থেকে আসা যাত্রীদের শরীরে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ থাকলে তাদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। আর লক্ষণ না থাকলে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। ফ্লাইট পরিচালনাকারী এয়ারলাইন্সগুলোকে হেলথ ডিক্লারেশন ফরম বিমানে বিতরণ করার কথা বলা হয়েছে। যাত্রীরা যেন সেটি পুরণ করে বিমানবন্দরে নামেন। পুরণ করা ফরমটি পরে হেলথ ডেস্কে জমা দিতে হবে। হেলথ ডেস্ক সূত্র বলছে, অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় তারা ঠিকমত ফরম পূরণ করে না। পরে হেলথ ডেস্কে আসার পর সবাই ফরম নিয়ে পূরণ করে। এতে কাজের বিঘ্ন ঘটে। এদিকে করোনার প্রভাবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের যাত্রীদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর সংশ্লিষ্টরা। কয়েকটি দেশের ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গতকাল সরজমিন বিমানবন্দরে গিয়ে দেখা যায় আগের চেয়ে যাত্রী ও স্বজনদের আনাগোনা কমে গেছে। শুধুমাত্র সৌদি আরব, দুবাই, মালেয়শিয়া, ওমান, ভারত, নেপালসহ কয়েকটি দেশের ফ্লাইটের যাত্রীরা অপেক্ষা করছেন। বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট ও নিরাপত্তাকর্মীরা বলছেন, কয়েকদিন ধরেই যাত্রীদের চাপ নেই। আগে যেখানে যাত্রী ও গাড়ির চাপে পা রাখা যেত না সেখানে গতকাল সকাল থেকে কোনো চাপ নাই। পার্কিং প্লেসে যানবাহনের সংখ্যাও কম।