সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেটের গোলাপগঞ্জের ভাদেশ্বর ইউপির রাজাপুরে কুড়া নদীর ওপর প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ বছর আগে নির্মাণ করা হয় দ্বিতীয় কুঁড়া সেতু। সেতুর কাজ শেষ হলেও সেতুটির এক পাশের সংযোগ সড়ক এখনো নির্মিত হয়নি। ফলে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি জনগণের কোনো কাজেই আসেনি এ সেতুটি চালু হলে পূর্ব সিলেটের বিয়ানীবাজার, বড়লেখা ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার শতাধিক গ্রামের মাধ্যে স্থাপিত হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কুড়া নদীর ওপর প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা বাজেটে ১১১ দশমিক ১২ মিটার দৈর্ঘ্যরে ওই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৯৯ সালে। গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার (সিলেট-৬) আসনের তৎকালীন সাংসদ নুরুল ইসলান নাহিদ সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। প্রথম দফায় কাজ শেষে ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তন হলে সেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসলে ফের সেতুর কাজ শুরু হয়। ২০১২ সালের জুন মাসে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। কিন্তু দীর্ঘ ৭ বছর পরেও সেতুর সংযোগ সড়ক স্থাপন না হওয়ায় জনগণের কোন কাজেই আসছেনা সেতুটি। সেতুর এক প্রান্ত ঢাকাদক্ষিণ-ভাদেশ্বর সড়কে গিয়ে মিলিত হলেও অপর প্রান্তে সংযোগ সড়ক নেই। সেখানে প্রায় আধা কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন সড়ক নির্মাণ করলে সেতুর সঙ্গে সংযোগ স্থাপিত হবে।
স্থানীয় অধিবাসীরা জানান, অনেক দিনের স্বপ্ন ছিলো এখানে কুড়া নদীর উপর রজাপুরে একটি সেতু নির্মাণ করা। সেতু নির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হলেও সংযোগ সড়কের কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। স্থানীয় ছিলিমপুর গ্রামের এক বৃদ্ধ জানান, সেতু নির্মাণ হলেও সরকারের এত টাকার সেতু কোনো কাজেই আসছেনা। সংযোগ সড়ক স্থাপন করা হলে পূর্ব সিলেটের কয়েক শতাধিক গ্রামের সাথে গোলাপগঞ্জের যোগাযোগ স্থাপন হবে। ফয়সাল নামের এক শিক্ষার্থী জানান, সেতুর এক পাশে সংযোগ সড়ক না এলাকার মানুষের কষ্ট ও দুর্ভোগ লাঘব হয়নি। সরকারের কোটি ব্যায়ে নির্মিত সেতু কোন কাজেই আসেনি।
সওজ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়ুয়া বলেন, শুনেছি প্রকল্পের শুরুতেই ভূমি অধিগ্রহণ করতে জটিলতা ছিল। এ জন্য তৎকালীন সময় সড়ক সংযোগ নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে এই সড়ক নির্মাণে কোন প্রকল্প বা বরাদ্দ আমাদের হাতে নেই।