বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অর্থনীতি একটি এম্পটি ভেসেল এর মধ্যে পড়ে গেছে। ওই বাইরে থেকে ঢোল বাজায় উন্নয়ন উন্নয়ন কিন্তু ভেতর একদম ফাঁকা। এই রাষ্ট্রকে পরিপূর্ণ ভাবে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য আওয়ামী লীগ চূড়ান্ত করে ফেলেছে। তিনি বলেন, নির্বাচন এসেছে অনেকেই প্রশ্ন করছেন বিগত নির্বাচনে এই অবস্থার পরেও আপনারা নির্বাচনে গেছেন কেন? আমরা বলেছি নির্বাচনকে আমরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়েছি। আমরা একটি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি হিসেবে এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে যেতে চাই। আমাদের নির্বাচনে যেতে হবে ও নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা জনগণের কাছে যাব এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়েই এই সরকারকে আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরাজিত করবো। এটাই আমাদের কাজ এ কাজটি আমরা করা যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি আমরা সফল হব কারণ জনগণের যে শক্তি সেই শক্তির কাছে সকল অপশক্তি পরাজিত হয়।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়া পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবির মুরাদের স্মরণে জিয়া পরিষদ আয়োজিত নাগরিক স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জিয়া পরিষদের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম সলিমুল্লাহ খান এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও বিএনপি’র চেয়ারম্যান শামছুজ্জামান দুদু।
মির্জা ফখরুল বলেন, নাইকো দুর্নীতি মামলার মূল মামলা যেটা আন্তর্জাতিক আদালত হয়েছে তা গোপন করে সরকার এ মামলা করেছে।
এ মামলায় আন্তর্জাতিক আদালতে অলরেডি রায় হয়েছে। এই মামলায় বলা হয়েছে কোনো ধরনের কোনো রকম দুর্নীতি হয়নি এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ অন্যায় ভাবে যাদেরকে এ মামলার সাথে যুক্ত করা হয়েছিল তারা সম্পূর্ণ নির্দোষ। তিনি বলেন, আপনাদেরকে আমি অনুরোধ করব এই বিষয়টা সবাই একটু জানার চেষ্টা করবেন। আমি ছোট্ট করে একটু বলতে চাই এখানে বলা হয়েছে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিষয়টি যেন জনসম্মুক্ষে প্রকাশ না করা হয় এজন্য ইন্টারন্যাশনাল সেন্ট্রাল ফর সেটেলমেন্ট অফ ইনভেসমেন্টসকে চাপ দিয়েছে সরকার। যেন বেগম জিয়াকে নির্দোষ বলে রায় দেওয়া হয়েছে এটা প্রকাশ করা না হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ তার করায়ত্ত করে রেখেছে এবং একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার জন্য ও সেটাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সরকার এই বিচার বিভাগকে ব্যবহার করছে। আজকে বাংলাদেশ বলতে যে রাষ্ট্র এই রাষ্ট্রে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে ভেঙে ফেলা হয়েছে। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজকে প্রত্যেকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যাদেরকে ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড যদি দেখেন তবে লক্ষ্য করবেন সবচেয়ে নিম্নমানের লোকজন গুলোকে নিয়ে আসে শুধু মাত্র রাজনৈতিক কারণে ভিসি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পাস কোর্স, থার্ড ক্লাস এ সকল লোকজনকে নিয়ে এসে ভাইস-চ্যান্সেলর বানানো হচ্ছে এবং রাজনৈতিক ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। একইভাবে এখন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়, বিসিএসে রিক্রুটমেন্ট করা হয়।এভাবে সকল প্রতিষ্ঠানগুলোকে তারা তাদের নিজেদের আয়ত্তে আনার জন্য দলীয়করণ করছে।