হাফিজুল ইসলাম লস্কর, সিলেট :: সিলেটে শীত পড়তে শুরু করেছে, বাজারে এসেছে শীতকালীন সবজী, তবে দাম রয়েছে একটু চওড়া। এছাড়া বেড়েই চলেছে চালের দর। পাঁচদিনের ব্যবধানে চালের দাম বিভিন্ন প্রকারভেদে প্রতি কেজিতে কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ টাকা করে বেড়েছে। এছাড়া বেড়েছে রসুনের দাম। সেই সঙ্গে দীর্ঘদিন স্থিতিশীল থাকার পর দাম বেড়েছে সয়াবিন তেলের। ফলে নিম্নআয়ের মানুষের মাথায় হাত। তবে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরিয়েছে মাছ ও সবজির বাজারে।
আজ রবিবার বিকালে সিলেটের সবজী বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে পণ্যের সরবরাহ প্রচুর। তথাপিও বাড়ছে ভোগ্য পন্যের দাম। বাজারে চালের দাম গেলো সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। ৫/৬ দিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে সয়াবিন তেল ও রসুনের। সয়াবিন তেল লিটারে ২থেকে ৪ টাকা বেড়েছে। রসুন প্রতি কেজিতে ৭ টাকা করে বেড়েছে।
এছাড়া এলসি পেঁয়াজ না থাকায় মিশরীয় ও নতুন পেঁয়াজের দামও কমেনি। মিশরীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১৩০-১৪০ টাকা। এছাড়া নতুন পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪৫ টাকা দরে। লবন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২-৩৫ টাকা, আলু্ ২২ টাকা, চিনি ৫৮ টাকা, ডাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা ও ডাল (উন্নত) ১১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে মশলার বাজারে দাম বেড়েছে গুড়ো ও শুকনো মরিচের।
এদিকে, মাছের বাজার স্বাভাবিক রয়েছে, মাছের দামে কিছুটা স্বস্তিতে ক্রেতারা। প্রতি কেজি কার্ফু মাছ ২২০-২৫০ টাকা, রুই মাছ ২৫০-৩০০ টাকা, গাসকার্ফ মাছ ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে। এক কেজি ওজনের ইলিশ ১২০০ টাকা, মাঝারি সাইজের (৭-৮শ গ্রাম) ইলিশ ৮০০ টাকা ও ছোট সাইজের (৫-৬শ) ওজনের ইলিশ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে সবজির বাজারও একটু চওড়া হলেও ক্রেতার নাগালের মধ্যেই রয়েছে। তবুও অন্য সময়ের মতো সবজির দামও কমেছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। সবজির নতুন শিম প্রতি কেজি ১০০ টাকা, শিম (পুরাতন) ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, পাতাকপি ৩৫ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, দেশি টমেটো ৮০ থেকে ৯০ টাকা, কাঁচামরিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধনিয়া ১২০ টাকা, জলপাই ৩০ টাকা, গাজর ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, নয়া আলু ৬০ টাকা, ফুলকপি ৭০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা, পানি লাউ পিস ৩০ টাকা ও লেবু প্রতি হালি ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির (সাদা লেয়ার) দাম কেজিতে ৫টাকা করে কমেছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা কেজি। লাল লেয়ার মুরগির পিস ৩৮০-৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।