হরতাল ডেকেই নাশকতা শুরু করেছে ২০ দলীয় জোট। সোমবারের হরতালের আগেই রাজধানীতে নাশকতা ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় এক ঘণ্টার মধ্যে রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায় পেট্রলবোমা ও ককটেল হামলার ঘটনায় এক পরিবারের তিনজনসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মিরপুরের কাজীপাড়ায় চলন্ত অটোরিকশা (সিএনজি) লক্ষ্য করে পেট্রলবোমা হামলা চালিয়েছে বিএনপি-জামায়াতের পিকেটাররা। এতে মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়েছেন একই পরিবারের তিনজন। তাঁরা হলেন শামসুন্নাহার বেগম (৫০), তাঁর ছেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ছাত্র তানজিমুল হক (২২) ও মেয়ে হাতিয়া কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী আনিকা (১৮)। তাঁদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, আহতদের মধ্যে মা শামসুন্নাহারের শরীরের ৯ ভাগ, ছেলে জাহাঙ্গীরের তিন ভাগ ও মেয়ে আনিকার ১ ভাগ দগ্ধ হয়েছে। এদের মধ্যে মায়ের আবস্থা সংকটাপন্ন। আহতরা হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, কাজীপাড়ায় তাঁদের বহনকারী সিএনজি অটোরিকশা লক্ষ্য করে পেট্রলবোমা ছোড়ে দুষ্কৃতকারীরা। এ সময় অটোরিকশার যাত্রী তিনজনই দগ্ধ হন। অটোরিকশা চালক অল্পের জন্য রক্ষা পান। সামান্য আহত হয়ে তিনি স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। গুরুতর আহত অবস্থায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে দগ্ধ এক পরিবারের তিনজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জানান, হরতাল সমর্থনে গতকাল সন্ধ্যায় ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কমপক্ষে ১০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া হরতাল বিষয়ে ক্যাম্পাস এলাকায় জাতীয়তাবদী ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা মিছিল করেছে। গতকাল রবিবার সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পথচারী রুমা চৌধুরী, সাথী আক্তার ও রিকশাচালক হারুন অর রশিদ পায়ে ককটেলের স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়ে আহত হন। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহীদ মিনারের পাশে শিববাড়ি এলাকায় পরপর সাতটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এর কিছুক্ষণ পরই টিএসসির চায়ের দোকানের পাশে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় তিনজন আহত হয়। এভাবে হঠাৎ ককটেল বিস্ফোরণে ক্যাম্পাসের আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় শোডাউন করে। ককটেল বিস্ফোরণের পরই ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে আসেন। সেখানে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের নিয়ে শোডাউন করেন।
এদিকে সন্ধ্যায় হরতাল সমর্থনে শাহবাগ এলাকায় মিছিল করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। এতে ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মিয়া মো. রাসেল, করিম সরকার, শাহ নাসির উদ্দিন রুম্মনসহ অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া গতকাল সন্ধ্যার পর রাজধানীর পল্টন মোড়. নয়া পল্টন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ও মহাখালী এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের পাশাপাশি গাড়িতে আগুন ভাঙচুর করে জামায়াত-বিএনপি ও শিবিরের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যার পর রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। উল্লেখ্য, ২০ দলীয় জোটের ডাকা সোমবারের হরতাল সামনে রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে বিক্ষপ্তি নাশকতা। শনিবার গাজীপুরে সমাবেশ করতে না পেরে ওই দিন বিকেলেই ২০ দলীয় জোটের পক্ষে সোমবার হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, আহতদের মধ্যে মা শামসুন্নাহারের শরীরের ৯ ভাগ, ছেলে জাহাঙ্গীরের তিন ভাগ ও মেয়ে আনিকার ১ ভাগ দগ্ধ হয়েছে। এদের মধ্যে মায়ের আবস্থা সংকটাপন্ন। আহতরা হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, কাজীপাড়ায় তাঁদের বহনকারী সিএনজি অটোরিকশা লক্ষ্য করে পেট্রলবোমা ছোড়ে দুষ্কৃতকারীরা। এ সময় অটোরিকশার যাত্রী তিনজনই দগ্ধ হন। অটোরিকশা চালক অল্পের জন্য রক্ষা পান। সামান্য আহত হয়ে তিনি স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। গুরুতর আহত অবস্থায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে দগ্ধ এক পরিবারের তিনজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জানান, হরতাল সমর্থনে গতকাল সন্ধ্যায় ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কমপক্ষে ১০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া হরতাল বিষয়ে ক্যাম্পাস এলাকায় জাতীয়তাবদী ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা মিছিল করেছে। গতকাল রবিবার সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পথচারী রুমা চৌধুরী, সাথী আক্তার ও রিকশাচালক হারুন অর রশিদ পায়ে ককটেলের স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়ে আহত হন। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহীদ মিনারের পাশে শিববাড়ি এলাকায় পরপর সাতটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এর কিছুক্ষণ পরই টিএসসির চায়ের দোকানের পাশে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় তিনজন আহত হয়। এভাবে হঠাৎ ককটেল বিস্ফোরণে ক্যাম্পাসের আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় শোডাউন করে। ককটেল বিস্ফোরণের পরই ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে আসেন। সেখানে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের নিয়ে শোডাউন করেন।
এদিকে সন্ধ্যায় হরতাল সমর্থনে শাহবাগ এলাকায় মিছিল করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। এতে ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মিয়া মো. রাসেল, করিম সরকার, শাহ নাসির উদ্দিন রুম্মনসহ অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া গতকাল সন্ধ্যার পর রাজধানীর পল্টন মোড়. নয়া পল্টন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ও মহাখালী এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের পাশাপাশি গাড়িতে আগুন ভাঙচুর করে জামায়াত-বিএনপি ও শিবিরের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যার পর রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। উল্লেখ্য, ২০ দলীয় জোটের ডাকা সোমবারের হরতাল সামনে রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে বিক্ষপ্তি নাশকতা। শনিবার গাজীপুরে সমাবেশ করতে না পেরে ওই দিন বিকেলেই ২০ দলীয় জোটের পক্ষে সোমবার হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।