সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত : কর্নেল অলি

Slider জাতীয় ফুলজান বিবির বাংলা রাজনীতি


ঢাকা: লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি’র প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় মুক্তিমঞ্চের আহ্বায়ক ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, দেশে বিরাজমান নৈরাজ্য, দুর্নীতি, বিচারহীনতা, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি, জনগণের উপর অত্যাচার, অনাচার এবং জবাবদিহিহীন পরিস্থিতির জন্য বর্তমান সরকার দায়ী। কারণ তারা কখনও জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়নি। অনতিবিলম্বে তাদের উচিত ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য পথ সুগম করা। তিনি আরো বলেন, এলডিপি আমার নামে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। যার নিবন্ধন নম্বর ০১। অন্য কারও এলডিপি নামে দল করার অধিকার নেই।

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার প্রতিবাদে ও সমসাময়িক ইস্যুতে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এহসান হুদা, জাগপার সহ সভাপতি রাশেদ প্রধান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান খান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মুফতি মনির হোসেন কাসেমী প্রমুখ।

অলি আহমদ বলেন, জাতীয় মুক্তিমঞ্চ কোন অবস্থাতেই প্রতিশোধ-প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। কারো প্রতি অবিচার হোক সেটা আমরা কামনা করি না। বরং সকলের প্রতি ন্যায় বিচার, সমান সুযোগ ও সমান অধিকারে বিশ্বাসী। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের মঙ্গলের জন্য কাজ করে যেতে হবে। দেশে ন্যায় বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশ আমাদের সকলের। কারো প্রতি আমরা অবিচার বা অন্যায় করব না। জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে সুদৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মিথ্যা এবং অন্যায় কাজ পরিহার করতে হবে। গণতন্ত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে।

আবদুল করীম আব্বাসীকে সভাপতি করে এলডিপি নামে একটি সমন্বয় কমিটি গঠনের বিষয়ে অলি আহমদ বলেন, আমি এলডিপি প্রতিষ্ঠা করেছি এবং ১২ বছর ধরে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এলডিপি থেকে বাদ পড়ে যারা নতুন কমিটি করেছে তারা আমার ভাইয়ের মতো ও সন্তান সমতুল্য। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার শিক্ষা আমার বাবা-মা দেয়নি। বাংলাদেশে বহু দল আছে তারা না হয় আরও একটা করলো। তাতে ক্ষতির কি আছে? কেউ যদি নিজের বাবার নাম বাদ দিয়ে আমার নামে পরিচিত হতে চায় তাহলে আমার কোন আপত্তি নাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *