নোবিপ্রবি ছাত্রলীগের ১৬ জন বহিষ্কার, ১৯ জনের অর্থদণ্ড

Slider জাতীয় শিক্ষা

নোবিপ্রবি: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় আবাসিক হল ভাঙচুর ও শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের ১৬ জনকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার, ৭ জনকে ২০ হাজার টাকা করে এবং ১২ জনকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের সভা ২০১৯/০১ এর সুপারিশ অনুযায়ী এবং রিজেন্ট বোর্ডের ৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বিশেষ সভার অনুমোদনক্রমে ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলে ৩১ আগস্ট ও ১ সেপ্টেম্বর ছাত্রদের মধ্যে সংগঠিত শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যক্রমের অভিযোগে ভিত্তিতে তাদের এই শাস্তি প্রদান এবং বহিষ্কার করা হয়।

আজ সোমবার (১১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মমিনুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা যায়।

বহিষ্কৃতরা হলেন রবিউল হক চৌধুরী (কৃষি), মো. জহিরুল ইসলাম (ব্যবসায় প্রশাসন), মো. আবদুর রহিম সিয়াম (কৃষি), জাহিদ হাসান শুভ (ইএসডিএম), কাজী আশরাফুল হক লিসান (ইএসডিএম), ইয়াসিন আরাফাত তারেক (ইএসডিএম), মো. শফিউর রহমান অন্তর (বিজিই), মো. সাইফুল্লাহ সনি (সিএসটিই), অর্নব সরকার (সমাজ কর্ম), মো. তৌহিদুল ইসলাম (কৃষি), মো. আল ইমরান (আইসিই), আবদুল্লাহ আল মাসুদ (ফলিত গণিত), ওমর ফারুক (কৃষি), মো. মিরাজ মাহতাব (ইংরেজি), আবদুল্লাহ আল নোমান (অর্থনীতি), কে এস এম সায়েম (মাইক্রোবায়োলজী)।

৭ জনকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এরা হলেন মো. মুহাইমিনুল ইসলাম নুহাশ (ফার্মেসি), মাহবুবুর রহমান চৌধুরী (ব্যবসায় প্রশাসন), জাহিদ হাসান শুভ (ইএসডিএম), হাসানুজ্জামান বিপ্লব (ইএসডিএম), আতাউল করিম রনি (কৃষি), শাফকাত আবির (ইংরেজি), আব্দুল্লাহ আল নোমান (অর্থনীতি)।

১২ জনকে ৫ হাজর টাকা করে জরিমানা করা হয়। এরা হলেন মো. আবদুল রহমান শিহাব (মাইক্রোবায়োলজী), কাজী মাহমুদুর রহমান রাহিম (মাইক্রোবায়োলজী), আবদুল্লাহ আল মাহদি (কৃষি), মো. আল আমিন (কৃষি), মো. শাকিল মোস্তফা মানিক (অর্থনীতি), ইয়াছিন আরাফাত (বিএলডব্লিউএস), আক্তারুজ্জামান জিসান (বিএলডব্লিউএস), মো. আলি (ইংরেজি), মো. জুবায়ের আহমেদ জনি (বিজিই), কামরুল হাসান (এফটিএনএস), আরফানুল হক (সিএসটিই), মো. এহতেশামুল হক শুভ (টিএইচএম)।

শাস্তির বিষয়ে নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, ‘আমরা তদন্তের ভিত্তিতে এই শাস্তি নির্ধারণ করেছি। শিক্ষার্থীরা তা মেনে নিয়ে ভবিষ্যতে এরূপ কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকবে। এছাড়া কেউ যদি আপিল করে বিশ্ববিদ্যালয় তার এক্টিভিটিজের আলোকে চিন্তা করবে।’

উল্লেখ্য, সিগারেট খাওয়া নিয়ে বিরোধে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হলে গত ৩১ আগস্ট ও ১ সেপ্টেম্বর ক্যাম্পাস ছিল উত্তপ্ত। দফায় দফায় সংঘর্ষে শিক্ষকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। গভীর রাত পর্যন্ত হলের ভেতরে ও বাইরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *