বাবার কথাই সত্যি হলো, তাকে একেবারে কফিনে মুড়িয়ে বাক্সবন্দি করে আনা হল- ইশরাক

Slider জাতীয় ফুলজান বিবির বাংলা


ঢাকা: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও অবিভক্ত ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকার জানাজার আগে আবেগঘন বক্তৃতায় তার বড় ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন বলেছেন, প্রায় সময়ই আব্বু বলতেন ‘যেই বাংলাদেশ নিজ হাতে স্বাধীন করেছি, সেই দেশে আমাকে কি বাক্সবন্দি হয়ে ফিরতে হবে…।’ শেষ পর্যন্ত বাবার কথাই সত্যি হলো। তাকে দেশে আনা হলো, তবে সুস্থ অবস্থায় নয়, একেবারে কফিনে মুড়িয়ে বাক্সবন্দি করে। এ কথা বলে কা’ন্নায় ভেঙে পড়েন খোকার ছেলে ইশরাক।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর ধূপখোলা মাঠে সাদেক হোসেন খোকার সর্বশেষ জানাজার আগে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে সংসদ ভবনে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর পর বৃহস্পতিবার পুর ১টা ৩০ মিনিটে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেয়া হয় খোকার লাশ। সেখানে ২য় জানাজা শেষে বিকেল ৩ টায় নগর ভবনে ৩ য় জানাজা, গোপিবাগ ব্রাদার্স ক্লাবের মাঠে অনুষ্ঠিত হয় চতুর্থ জানাজা। সেখানে তার কফিনে ব্রাদার্স ক্লাবের পতাকা জড়িয়ে দিয়ে সম্মান জানানো হয়। খোকার সর্বশেষ ৫ম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর ধূপখোলা মাঠে।

এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় ২৬ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় বিএনপির এই অন্যতম প্রভাবশালী নেতার লাশবাহী ফ্লাইট। বিমানবন্দরে খোকার লাশ গ্রহণ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

গত সোমবার (৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যানসার সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাদেক হোসেন খোকা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।

এদিকে প্রিয় নেতাকে শেষবারের মতো একনজর দেখা ও তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নয়াপল্টনে বিএনপি লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। দুপুর ১২টার আগে থেকেই বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করে নেতাকর্মীরা ধীরে ধীরে নয়াপল্টনে জড়ো হতে থাকেন।

নয়াপল্টনে সাদেক হোসেন খোকার তৃতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল ৩টায় ঢাকা সিটি করপোরেশনে নিয়ে যাওয়া হবে খোকার লাশ। সেখানে চতুর্থ নামাজে জানাজা শেষে লাশ নেয়া হবে নিজ বাসভবনে।

বাদ আসর ধুপখোলা মাঠে পঞ্চম নামাজে জানাজা শেষে জুরাইন কবরস্থানে বাবা-মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে।

ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য ২০১৪ সালের মে মাসে সস্ত্রীক দেশ ছেড়েছিলেন একসময়ে ঢাকার এই দাপুটে নেতা। তখন থেকেই সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *