গাজীপুরে ছাত্রলীগ নেতার বক্তব্যে কেঁচো খুঁড়তে বড় সাপেরা বের হচ্ছে কি!

Slider জাতীয় টপ নিউজ সারাদেশ

গাজীপুর: গাজীপুর মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন আহম্মেদ শান্ত বাবুর একটি বক্তব্য ইতোমধ্যে দেশের প্রথম শ্রেনীর পত্রিকার অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে। বক্তব্যে তিনি যা বলেছেন, তা যদি সত্য হয়, তবে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে নয় বড় সাপ বের হতে পারে। ক্ষমতাসীন দলের অংঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আভ্যন্তরীন চাপা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে গেলে অনেক নেতাই শুদ্ধি অভিযানের আওতায় আসতে পারেন।

পাঠকের জন্য পত্রিকায় প্রকাশিত শান্ত বাবুর বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হলো:

গাজীপুর মহানগর যুবলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন আহম্মেদ শান্ত বাবু অভিযোগ করে বলেন, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর ছেলে ৮ বছরে কিভাবে ৭-৮শ কোটি টাকার মালিক হয়? কার আত্মীয় টঙ্গী ইয়াবা ব্যবসার ডিলার? কি এমন আলাদীনের আশ্চর্য প্রদীপ পেয়েছে ৩-৪শ ফ্ল্যাট বানিয়েছে।

জুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতে দলীয় লোককে কে হত্যা করেছ? যুবলীগের তৃনমূলের টাকায় থাইল্যান্ড সিঙ্গাপুর ট্যুর করেন। পকেটে পাসপোর্ট নিয়ে বক্তৃতা করার অভিযোগ করে তিনি বলেন-২০০৫ সালে উত্তরার রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্সে চোরাই মোবাইলসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আটক হয়েছিল?

ব্যবহার করা কোটি টাকার পাজেরো গাড়ি এখন কোথায় লুকিয়েছে? টাকার বিনিময়ে কমিটি দেয়া স্থগিত করেছিলেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আজমত উল্লা খান ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম।

শেখ হাসিনার শুদ্ধি অভিযানে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাকে বিষয়টি দেখার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুরের রাজনীতিতে বানের জলে ভেসে আসেননি। গাজীপুর মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন আহম্মেদ শান্ত বাবু পূবাইল ইউপি সাবেক ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন মোল্লার জন্মদিন ও মতমিনিময় সভায় মিরের বাজার নূর মার্কেট মিলনায়তনে শুক্রবার রাতে এসব কথা বলেন।

এই সংবাদ প্রকাশের পর নানা মহলে নানা আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে।

আওয়ামীলীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, প্রতিটি দলেই আভ্যন্তরীন চাপা ক্ষোভ রয়েছে। এটা রাজনীতিরই অংশ। তাই গাজীেপুরেও এর বাইরে নয়। তবে শান্ত বাবুর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগ অংঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের গাজীপুরের অনেক নেতাই আতঙ্কে পড়ে গেছেন। দূর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ নিয়ে তারা বেকায়দায় পড়েছেন। অনেক নেতারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, গাজীপুর জেলা, মহানগর ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যে সকল নেতা দূর্নীতির মাধ্যমে অর্থের পাহাড় গড়ে তোলেছেন তাদের মধ্যে একাধিক বড় মাপের নেতা রয়েছেন। নানা আকার ও ইঙ্গিতে তাদের নাম ভেসে বেড়ানোর কারণে ও পারস্পরিক বিরোধের জের ধরেই তথ্য প্রকাশ শুরু হয়েছে।

সাধারণ মানুষ মনে করছেন, নিজেদের মধ্যে কাঁদা ছোড়াছুড়ির কারণে যদি দূর্নীতিবাজ নেতাদের নাম পরিচয় প্রকাশ পেয়ে শুদ্ধি অভিযানের আওতায় আসে, তবে দলের জন্য মঙ্গল হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *