স্ত্রীকে হত্যার শ্বশুরবাড়িতে লাশ পাঠালেন স্বামী!

Slider চট্টগ্রাম জাতীয়


কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি: স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ অ্যাম্বুলেন্সে করে শ্বশুরবাড়িতে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। চট্রগ্রামের পাহাড়তলী থানার হালিশহরে ঘটে এ হত্যাকান্ড। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চুপাইর গ্রামে বাপের বাড়িতে ওই নারীর লাশ এসে পৌছে।
নিহতের নাম মারজিয়া আক্তার লিপি (৩৪)। সে চুপাইর গ্রামের সরকার বাড়ির মৃত আব্দুল আজিজের মেয়ে। সে স্বামীর সঙ্গে থাকতেন পাহাড়তলীর হালিশহরে। এ ঘটনার পর থেকে লিপির স্বামী মোশারফ হোসেন সরকার পলাতক।

তার স্বামী মোশারফ হোসেন সরকারও চুপাইর এলাকার হাসিমুদ্দিন সরকারের ছেলে। মোশারফ স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে চট্রগ্রামের হালিশহরে ভাড়া বাসায় থাকত। সেখানে ঠিকাদারি কাজ করত সে।

স্বজনরা জানান, লিপির সঙ্গে ২০ বছর আগে বিয়ে হয় মোশারফের। তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। এর জের ধরে মঙ্গলবার রাতে বাসায় লিপিকে পিটিয়ে হত্যা করেন মোশারফ। এর পর মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে গাজীপুরের কালীগঞ্জে লিপির বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

নিহত লিপির মা রহিমা বেগম জানান, চট্রগ্রামে লিপির প্রতিবেশীরা ফোন করে তাদের জানিয়েছেন লিপিকে হত্যা করে তার স্বামী মোশারফ পালিয়ে গেছে।
রহিমা বেগমের অভিযোগ, বিয়ের এক বছর পর থেকেই যৌতুকের জন্য মোশারফ লিপিকে চাপ দিয়ে আসছিল। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার লিপিকে মারধর করেছে মোশারফ। তিন বছর আগে মোশারফ পিটিয়ে লিপির বাম চোখ নষ্ট করে দেয়।

কালীগঞ্জ থানার ওসি একেএম মিজানুর হক জানান, খবর পেয়ে বুধবার সকালে কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম নিহতের বাড়িতে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরোও জানান, বাকপ্রতিবন্ধী লিপি আক্তার তার স্বামীর সঙ্গে চট্রগ্রাম পাহাড়তলী থানার হালিশহরে থাকতো। নিহতের পরিবারের দাবি, লিপির স্বামী তাকে হত্যা করে লাশ বাড়িতে পাঠিয়েছে। হত্যার অভিযোগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত পাহাড়তলী থানায় পাঠানো হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *