ঢাকা: মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্যই শুধুমাত্র মোবাইল অপারেটরগুলোকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। ভিডিও কনটেইন্ট তৈরি করে সেটিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করার আবার সেখানে বিজ্ঞাপন দেয়ার লাইসেন্স দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহসম্পতিবার বিকেলে প্রেস ইস্টিটিউট বাংলাদেশে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার আয়োজিত ‘সম্প্রচার গণমাধ্যমের সংকট’ ‘সমাধান যাত্রা’, শীর্ষক গুলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই এই প্রাইভেট টেলিভিশনের যাত্রা শুরু। ১৯৯৬ সালে যখন তিনি সরকার সরকার গঠন করেন তখনই তিনি প্রাইভেট টেলিভিশন চালুর লাইসেন্স দেন। আমারা ২০০৯ সালে যখন প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করেন তখন বাংলাদেশে টেলিভিশনের সংখ্যা ছিল ১০টি। এখন টেলিভিশন সম্প্রচারে আছে প্রায় ৩৪টি। লাইসেন্স দেয়া আছে ৪৫টি। আরো কিছু চ্যানেল সম্প্রচারে আসবে। সুতরাং এই সম্প্রচার মাধ্যমটি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া গত ১২ থেকে ১৩ বছরে তিনগুনের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, উত্তরাধিকার সূত্রে যেসব সমস্যা মন্ত্রণালয় পেয়েছে। সেগুলো সমাধানের জন্য প্রথম থেকে চেষ্টা করে আসছি। দীর্ঘ দিনের সমস্যা সহজে সমাধান করা সম্ভব নয়। এরপরও অনেক সমস্যার সমাধান হয়েছে।
বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন বিদেশি চ্যানেলে চলে যাচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিদেশি চ্যানেলের মাধ্যমে যে কোন বিজ্ঞাপন দেখানো আইনত আইন সজ্ঞত নয়। যা এখন বন্ধ হয়েছে। এখানে বড় সমস্যা হচ্ছে বাংলাদেশে এখনো সম্প্রচার মাধ্যমটি ডিজিটাল হয়নি। আমরা এ লক্ষ্যে কাজ করছি। যতো দ্রুত সম্ভব আমরা সম্প্রচার মাধ্যমটি ডিজিটাল করতে পারবো।
নাট্যকর্মী ও বিজ্ঞাপন শিল্পীরা কাজ পায় না
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের নাট্যকর্মীরা নাটক পায় না। বিজ্ঞাপন চিত্রে যারা অভিনয় করেন তারা ঠিক মতো কাজ পাচ্ছে না। আমাদের ছেলে-মেয়েরা অনেক স্মার্ট। তারা ভাল বিজ্ঞাপন বানায়। আমাদের দেশে আমাদেরই কলকৌশলিদের দিয়ে অনেক ভাল বিজ্ঞাপন হয়েছে। যেগুলো হার্ড সিপ।
বিদেশি সিরিয়ালে লাগবে অনুমোদন
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইদানিং আমরা দেখতে পাচ্ছি কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলে বিদেশি কিছু সিরিয়াল নিয়ে এসে ডাবিং করে চালানো হচ্ছে। এমনকি তা ৩০ বছরেরও অধিক পুরনো। বাংলাদেশি বিজ্ঞাপনও বিদেশে বানিয়ে নেয়া হচ্ছে। এখানে শিল্পী কলাকৌশলি থাকা সত্ত্বেও বাহিরের শিল্পীদের দিয়ে বানিয়ে নেয়া হচ্ছে। এটাতে আমাদের ছেলে-মেয়েরা বঞ্চিত হচ্ছে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা ইতিমধ্যে মধ্যে বিদেশি সিরিয়াল প্রচারের ক্ষেত্রে শুধু মাত্র সরকারের অনুমতি নিয়ে প্রচার করতে পরিপত্র জারি করেছি। যদি কোন বিদেশি সিরিয়াল আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে যায় তাহলে সেটির অনুমতি মিলবে।
দেশের বাইরে বিজ্ঞাপন তৈরিতে গুণতে হবে ট্যাক্স
মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে যখন একটি মাত্র টিভি ছিল তখন প্রচুর বিজ্ঞাপন প্রচার হতো। এখানো হয়। এখন আরো অনেক চ্যানেল হওয়াতে বিজ্ঞাপন ভাগ হয়ে গেছে। সেই সময় বিদেশে কোন বিজ্ঞাপন বানিয়ে আনতে হলে ট্যাক্স দিতে হতো। সব টিভির জন্য সেটি আমরা আবার চালু করেত যাচ্ছি। আপনি বানাতে পারেন। এখন মুক্তবাজার অর্থনীতির সময়। আপনি হলিউডের শিল্পী দিয়েও বানাতে পারেন বা অন্য শিল্পী দিয়েও বানাতে পারেন। এজন্য আপনাকে ট্যাক্স দিতে হবে। যাতে করে আমাদের শিল্প ও শিল্পীরা রক্ষা পায়। সে কাজটি আমরা করতে যাচ্ছি।
টিআরপি আসবে নিয়ম শৃঙ্খলায়
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, টেলিভিশন কোম্পানিগুলোকে এখন হার্ড সিপে মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। সেটা হচ্ছে টিআরপি। এটি যারা করে তাদেরকে কে লাইসেন্স দিয়েছে। এভাবে চলতে পারে না। এভাবে চলা সমীচিনও নয়। আমরা এবিষয়ে মন্ত্রণালয়ে বসেছি। আমরা সহসা কোন নীতিমালার ভিত্তিতে টিআরপি হবে এবং যারা টিআরপি করবে সরকারের অনুমতি নিয়ে করতে হবে। যে কেউ এসে টিআরপি করবে সেটা হবে না।
তিনি বলেন, টিআরপি কিভাবে হয় সেটি আমার জানা আছে। টেলিভিশনের সিরিয়াল ঠিক করতে যেভাবে দেন দরবার হয় টিআরপি করতে গিয়েও এমনটি হয় না তা নয়। সুতরাং এক্ষেত্রে আমরা নিয়মনীতি করতে যাচ্ছি। এখানেও আমারা শৃংখলা ফিরিয়ে আনতো পারবো বলে আশা করছি।
বিদেশি চ্যানেলে আর বিজ্ঞাপন নয়
তথ্যমন্ত্রী বলেন, টেলিভিশন চ্যানেলে আয়ের একমাত্র উৎস হচ্ছে বিজ্ঞাপন। তাদের অনেক সমস্যা আছে যা আমি আগে থেকেই জানতাম। নতুন করে জানতে হয়নি। সেকারণে উদ্যোগ নেয়ার আগে কয়েকমাস বুঝতে হয়নি। সেকারণে সহসা উদ্যোগ নিতে পেরেছি। আমাদের দেশ থেকে বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন চলে যাচ্ছিল। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর অবস্থা আগের চেয়ে বেটার। মালিকপক্ষরা অবশ্যই জানেন। স্বীকার করুক আর না করুক সেটা তাদের ব্যাপার।
আগে বিজ্ঞাপন যে বিদেশে যাচ্ছিল সেটিতো যাচ্ছে না। দেশে থাকছে। সিঙ্গাপুরের মাধ্যমে বা অন্য কোম্পানির মাধ্যমে চয়ে যেতো। হুন্ডি হয়ে টাকা চলে যেতো সেটি তো আর যাচ্ছে না। বন্ধ হয়েছে। এক্ষেত্রে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উজ্জল হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিজ্ঞাপনে বসবে ট্যাক্স
মন্ত্রী বলেন, টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন কমে যাওয়ার আরেকটি বড় কারণে হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। বিজ্ঞাপনের প্রায় ৩০শতাংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলে যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে বিজ্ঞাপন চলে যায়, তা যেতে পারে কিন্তু সরকার কোন ট্যাক্স পাচ্ছেনা। যেভাবে যার যা ইচ্ছা বিজ্ঞাপন দিয়ে দিবে? আমরা কি সবাই আমেরিকান রেজিস্ট্রার্ট কোম্পানির জন্য বিজ্ঞাপন তৈরি করছি? ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আমাদের টাকা তাদের দিয়ে দিবো? যেখানে একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে তার যেসব অনুমোদন দরকার হয় সেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন অনুমোদন ছাড়াই শুধু মাত্র ক্রেডিট কার্ড থেকে দিয়ে টাকা নিয়ে নিচ্ছে। এভাবে রাষ্ট্রের টাকা বিদেশিশী কোম্পানির কাছে চলে যাচ্ছে। এটা সমীচিন নয়।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে আমরা কিছু নিয়মনীতি করতে যাচ্ছি। কিভাবে কোন পন্থায় সেখানে বিজ্ঞাপন যাবে। সেখানে কিভাবে ট্যাক্স বসানো যাবে সেসব বিষয়ে আমারা একটি নীতিমালা করতে যাচ্ছি।
এনআইডি ছাড়া ফেসবুক নয়
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকই বেশি ব্যবহার হয়। ইতোমধ্যে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আমাদের দেশে এসেছে। তাদের সাথে আলোচনা হয়েছে। তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে অনেকগুলো প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে। আগামীতে যাতে এনআইডি’র মাধ্যমে ফেসবুক এ একাউন্ট খুলার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয় সে বিষয়ে ও আলোপ হয়েছে। এখন চাইলে একজন ১০ বছরের ছেলেও একাউন্ট খুলছে। চাইলে একাধিক একাউন্ট খুলছে। অনেকে ফেক আইডি খুলে তার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের অপরাধ মূলক কাজ করছে। তা আর হবে না। এনআইডির মাধ্যমে একজন ১৬ বছরের ছেলে-মেয়ে একাউন্ট খুলতে পারবে যদি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ মেনে নেয়।
থমকে আছে সম্প্রচার আইন
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রচার আইনটি বহু আগে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আমরা প্রতিমাসে দু’বার করে তাগাদা দিই। এরপরও এখনো পযন্ত তাদরে কোন সাড়া আসেনি। আশা করছি দ্রুতই ফলাফল চলে আসবে।
সময়ের অপেক্ষায় গণমাধ্যম কর্মী আইন
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম কর্মী আইন নিয়ে আমাদের অগ্রগতি আছে। সেটি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকের মাধ্যমে যে গণমাধ্যম কর্মী আইনের মাধ্যমে সাংবাদিক ভাইবোনদের যে শ্রমিক আখ্যা দেয়া হয়েছিল যেটি মোটেও সমীচিন নয়। এটি যাতে না থাকে এটি সহ অন্যান্য বিষয়গুলো যাতে না থাকে, আমরা আশা করছি এটি মন্ত্রী সভা হয়ে সংসদে নিয়ে যেতে পারবো।
সময়ের দাবি সম্প্রচার নীতিমালা
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সম্প্রচার আইন যদি আমরা পাশ করতে পারি অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তার আলোকে যারা সংবাদ কর্মী তাদের জন্য অনেকগুলো নিয়মনীতি থাকবে। তাদের চাকরির সুরক্ষায় সম্প্রচার নীতিমালা পাশ হলেই তাদের চাকরি সুরক্ষা হবে।
তিনি বলেন, ৮ম ওয়েজ বোর্ডে বলা আছে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের জন্য একটি আলাদা নীতিমালা করতে হবে। এর বাইরেও কর্মচারি আছে তাদের জন্য একটি আইনি কাঠামো দরকার। সেই আইনি কাঠামোর আলোকে প্রত্যেকে নিয়োগপত্র থাকা দরকার। সেটি করতে আপনাদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিব।
মন্ত্রী বলেন, একটি হচ্ছে ৮ম ওয়েজ বোর্ডের আলোকে আরেকটি হচ্ছে সম্প্রচার নীতিামালা যদি পাশ হয় তার আলোকে একটি নীতিমালা করা প্রয়োজন। তা যেই নামেই হোক না কেন। তা পরে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাথে যারা যুক্ত আছেন। সাংবাদিক-কর্মচারিসহ সবার জন্য একটি আইনি সুরক্ষা থাকা প্রয়োজন সে লক্ষে আমি আপনাদের সাথে নিয়ে কাজ করবো।
ভিডিও বানাতে পারবে না মোবাইল অপারেটরা
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আরেকটি বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশে মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য যাদের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে, তাদের শুধুমাত্র মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। তাদরেকে ভিডিও কনটেইন তৈরি করে সেটিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করে আবার সেখানে বিজ্ঞাপন দেয়ার লাইসেন্স দেয়া হয়নি। আমার এক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছি। আইন বাস্তাবায়ণ করতে যাচ্ছি। এখানেও প্রচুর বিজ্ঞাপন চলে যায়। এখানেও যাতে শৃংখলা আসে সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।
৯ম ওয়েজ বোর্ড এর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন:
ওয়েজ বোর্ড ঘোষণা করাটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। কোর্টে মালমা হয়েছিল। মামলায় সরকারের উপর রুল জারি হয়েছিল। আর আমরা ওয়েজবোর্ড ঘোষণা করার কারণে আরেকটি মামলা হয়েছিল। কোর্টের রুল অবজ্ঞা করে কেন সরকার ওয়েজবোর্ড ঘোষণা করলো। এই যে এতো কিছু। অন্য কোন ওয়েজবোর্ড ঘোষণার ক্ষেত্রে এটি হয়নি। আমার কাছে যে সময় ছিল তার মধ্যে আমি ঘোষণা করে দিয়েছি। আর এটি মন্ত্রিসভার মাধ্যমে হয়েছিল। সেখানে আপনাদের কিছু জিজ্ঞাসা আছে, কনসার্ণ আছে। সেখানে মালিক পক্ষের দাবি আরো অনেক কড়া ছিল। তা আমি বলতে চাচ্ছি না। আমরা আলাদা আলাদাভাবে প্রতিটি পক্ষের সাথে বসেছি। যা দাবি ছিল যদি সেভাবে হতো তাহলে কি হতো জানিনা।
সুতরাং দুএকটি আপনাদের দাবি অনুযায়ি হয়নি বিধায় আপনারা কনসার্ণ ব্যক্ত করেছেন। তবে এটি ঘোষণা করার ক্ষেত্রে অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল। অনেক আইনি জটিলতা ছিল। সেসবের মধ্যেই সবগুলোকে মাথায় নিয়েই ৯ম ওয়েজবোর্ড ঘোষণা করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের পাওনা ঠিক সময়ে দিতে মালিকদের প্রতি অনুরোধ
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি বলতে চাই যারা বিভিন্ন চ্যানেলের মালিক আছেন সাংবাদিক ভাইবোনদের বঞ্চিত করবেন না। বেতনগুলো তাড়াতাড়ি দিয়ে দিবেন। তারা অনেক কষ্ট করে চ্যানেলগুলো চালান। তারা যদি সবাই একযোগে স্টাইক করে তাহলে কি হবে। করে না বিধায় বুঝতে পারেনা। আমি করার পক্ষে বলছিনা কিন্তু তারাতো চাইলেই করতেপারে। কিন্তু সেটি তারা করছে না। তাই তাদের ধন্যবাদ। তারা খেয়ে না খেয়ে তিনমাস বেতন না পেয়ে এবং বাচ্চাকে স্কুলে রেখে বা হোস্টেলে দিয়ে তারা সংবাদ সংগ্রহ করছে। আমি মনে করি তাদের এই দরদটা সবাই অনুধাবন করবেন। আশা করি কেউ সাংবাদিক ভাইবোনদে বঞ্চিত করবেন না। অহেতুক চাকরিচ্যূতির ঘটনা ঘটবেনা এটাই আমার প্রত্যাশা।