শহীদ কমিশনারের হাত থেকে বাঁচতে চান আসমা প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা কামনা

Slider নারী ও শিশু বাংলার আদালত

ঢাকা:পুরান ঢাকার একাধিক হত্যা মামলার পলাতক আসামি সাইদুর রহমান ওরফে শহীদ কমিশনারের সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে জীবন বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চেয়েছেন যুব মহিলা লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি আসমা আক্তার ও তার পরিবার।

সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ক্রাইম রিপোর্টার্স বহুমুখী সমবায় সমিতি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন আসমা আক্তার। এ সময় তার পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে আসমা আক্তার বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর, রাজাকারের সন্তান সাইদুর রহমান ওরফে শহীদ কমিশনার বা শহীদ চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে তাদের ওপর নির্যাতন করে আসছে। গত ১৬ মে পুরনো ঢাকার গেণ্ডারিয়া থানার সতীশ সরকার লেনে ফল কেনার জন্য তার স্বামী দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন তার ওপর হামলা চালায় শহীদের সন্ত্রাসী বাহিনী। এ সংবাদ পেয়ে আসমা তার দুই মেয়েকে নিয়ে সেখানে যান। তখন তাদেরও ব্যাপক মারধর করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তার স্বামীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তিনি গেণ্ডারিয়া থানায় শহীদ কমিশনারকে আসামি করে মামলা করেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তাকে বাদ দিয়েই পুলিশ সম্প্রতি আদালতে চার্জশিট দিয়েছে।

আসমা অভিযোগ করেন, গেন্ডারিয়া থানা পুলিশ প্রতি মাসে শহীদ কমিশনারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা উৎকোচ নেওয়ায় তার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগগুলোকে আমলে নেয় না। পলাতক থাকলেও শহীদ কমিশনার তার ক্যাডার বাহিনী ও পরিবারের সদস্যদের দিয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের হয়রানি করছে। সর্বশেষ শহীদ কমিশনারের মেয়ে গত সপ্তাহে আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে শ্যামপুর থানায় জিডি করেছে।

আসমা আক্তার বলেন, শহীদ কমিশনারের বিরুদ্ধে অ্যাডভোকেট হাবিব মণ্ডল হত্যাসহ দু’ ডজনেরও বেশি হত্যা মামলা রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি জায়গা, রাস্তা ও বাড়ি দখল এবং চাঁদাবাজি, জুয়ার বোর্ড ও ক্যাসিনো চালনাসহ অসংখ্য অভিযোগও রয়েছে। যুবদল ও জাতীয় পার্টি হয়ে বর্তমানে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া শহীদ কমিশনার কিছুদিন আগে ৮১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা হামিদ ফকিরের জায়গা জোর করে দখল করে নিয়েছিলেন। এসবের প্রতিবাদ করার কারণেই তাদের ওপর বার বার হামলা চালানো হচ্ছে। তারা নিরাপত্তহীনতায় রয়েছেন। এই অবস্থা থেকে নিস্কৃতি পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান আসমা আক্তার ও তার পরিবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *