হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাটঃঃ উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটে কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিপাতে শীতের আগমনী বার্তা বইছে।এরই মধ্যে জেলাজুড়ে ঘণ ঘণ বৃষ্টি হওয়ায় হালকা শীতের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।রাতে ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে।
মাঝরাতে মৃদু বাতাসে শরীরে ঠাণ্ডা অনুভব হচ্ছে। ভোরে শিশির ভেজা ঘাসও চোখে পড়ছে বেশ। বৃষ্টি শেষ হলেই ঠাণ্ডার প্রভাব ধীরে ধীরে বাড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
সরেজমিনে রবিবার ভোরবেলা দেখা গেছে, হালকা কুয়াশায় ঢেকে গেছে রাস্তা-ঘাট। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নৈশ কোচ-ট্রাকগুলো সকালে হেডলাইট চালিয়ে রাস্তায় চলাচল করছে। অনেকেই হালকা গরম কাপড় গায়ে দিয়ে নিজ নিজ কাজে বের হচ্ছেন।
চায়ের দোকানদার রবিউল ইসলাম জানান, দুদিন থেকে মোটরসাইকেলে ভোরবেলা দোকানে আসার সময় শীত শীত লাগছে। এর ফলে হালকা গরম কাপড় গায়ে দিয়ে দোকানে আসছেন তিনি।
তবে শীতের আগমন ঘটলেও লেপ তোসকের দোকানগুলোতে এখন পর্যন্ত ক্রেতাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। অনেক গরম কাপড় ব্যবসায়ী বলছেন শীতের লেপ-তোসক বানানোর কাজ শুরু হতে আরও ২০-২৫ দিন লাগবে।
চাষীরা জানান, টানা কয়েকদিন ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ার কারনে শাকসবজিতে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস আক্রমণ দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির পানি আর হালকা শীতের কারণে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস আক্রমণ হয়। ভাইরাসের কারণে ফলন কম হয় শাকসবজির। বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের জন্য কীটনাশক সার ব্যবহার করতে হয়।
তাই উৎপাদন খরচও বেড়ে যায় এবং বেশি দামে সবজি বিক্রি করতে হয়।
দিনে গরম থাকলেও শেষরাতে মৃদু বাতাসে বেশ ঠাণ্ডা লেগে যায়। তাই মাঝরাতের পর থেকে হালকা শীতের কাপড় গায়ে না দিলেই ঠাণ্ডার অনুভূতি বাড়তে থাকে। শেষ রাত থেকে গায়ে চাদর দিয়ে ঘুমাতে হয়। কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে শীতের প্রকোপ বেশ বোঝা যাচ্ছে।
প্রতি বছর কঠিন ঠান্ডা শেষ হওয়ার পরই সরকারি-বেসরকারি এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। শীত শুরুর আগেই যদি সরকার এবং এনজিওগুলো শীতবস্ত্র বিতরণ করে তাহলে হয়তো নিম্নশ্রেণির মানুষেরা শীত ভালোভাবে মোকাবিলা করতে পারবে।
‘সবজি চাষে বৃষ্টির পানি ও শীতের কারণে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।