রাবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে ‘জয় হিন্দ’ বলার অভিযোগ: অপসারণ দাবী

Slider জাতীয় রাজশাহী শিক্ষা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম আবদুস সোবহান বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যের শেষে ‘জয় হিন্দ’ বলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ তুলে উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আলটিমেটাম দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ছাত্রসংগঠন।

এ বিষয় নিয়ে উপাচার্য বা তাঁর পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কেউ সরাসরি মন্তব্য করতে চাননি। তবে জনসংযোগ দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, আজ সোমবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ বিষয়ে জানানো হবে।

ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং রাকসু আন্দোলন মঞ্চের যৌথ উদ্যোগে গতকাল এক প্রতিবাদলিপিতে বলেছে, ‘উপাচার্য এম আবদুস সোবহান জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলার পর জয় হিন্দ বলেছেন। বিষয়টি গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় দেশব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছে।…আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করে উপাচার্যকে জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।’

গত বৃহস্পতিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে ‘কালচার, পিস অ্যান্ড এডুকেশন: ফ্রম দ্য পারস্পেকটিভ অব পিপলস হিস্ট্রি’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন উপাচার্য। তিনি জয় বাংলা ও জয় বঙ্গবন্ধুর পর ‘জয় হিন্দ’ বলে বক্তব্য শেষ করেন, এমন অভিযোগ ছাত্রসংগঠনগুলোর।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ এবং জন ইতিহাসচর্চা কেন্দ্র তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে বাংলাদেশ ও ভারতের ইতিহাসবিদ, শিক্ষক ও গবেষকেরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ, রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জীব ভাট্টী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা ও অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ইতিহাস বিভাগের সভাপতি মর্ত্তুজা খালেদ বলেন, ‘উপাচার্যের বক্তব্যের পর আমার বক্তব্য ছিল। তাই আমি খেয়াল করিনি তিনি কী বলেছেন।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারী বলেন, ‘উপাচার্যের সঙ্গে কথা না বলে কোনো মন্তব্য করতে পারব না। তিনি এখন ঢাকায় আছেন।’

এ প্রসঙ্গে রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আবদুল মজিদ বলেন, উপাচার্য কেন এবং কোন পরিপ্রেক্ষিতে এই স্লোগান দিয়েছেন, সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা চান তাঁরা।

ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মাসুদ মোন্নাফ বলেন, ‘উপাচার্যের এই স্লোগান রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।’

যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রভাষ কুমার কর্মকার বলেন, ‘আমি এখন কিছু বলতে পারব না। আগামীকাল (সোমবার) সকালে প্রেস রিলিজ দেব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *