দুই শিশু পাইপের ভেতর প্রথম কান্নার শব্দ শুনে পাড়া প্রতিবেশিকে ডেকে আনার কথা বললেও জিয়াদের মা সাংবাদিকদের জানান, এক প্রতিবেশি নারী নাকি তিনতলা থেকে শিশুকে পড়ে যেতে দেখে তাকে বাসায় এসে খবর দিয়ে গেছেন।
তবে শব্দ পাওয়া এবং জুস খাওয়ার কথা বলেছিলেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার আলী আহমেদ খান, পিএসসি বলেন, ও রকম শব্দ পাওয়া গিয়েছিল। তবে নিচে কিছু আবর্জনা পাওয়া গেছে। তেলাপোকা, টিকটিকি ও রশি পাওয়া গেছে। আমরা ওয়াসার অত্যাধুনিক বোরহোল ক্যামেরা দিয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছি।
এখনি কার্যক্রম গুটিয়ে নেবেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সর্বশেষ আরেকটু চেষ্টা করব। নিচের জিনিসগুলো বের করে আনার চেষ্টা করব।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের আরও বলেন, এখানে ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য উদ্ধারকারীরা আছেন। তারা ৮ ঘণ্টা কাজ করেছেন। যারা এ কাজে পারদর্শী আমরা তাদের আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো শিশুকে পাওয়া যায়নি। ওখানে কিছু কিট পতঙ্গ আছে। ওখানে আবর্জনা আছে। তার মানে ওখানে অক্সিজেন আছে। আমরা ওখানে জীবিত মানুষকে পাইনি। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ঘোষণার পর রাত ২টা ৫০ মিনিটের দিকে উদ্ধারকারী দল পাইপ থেকে ক্যামেরা তুলে নেয়।
জিয়াদ যে পাইপে পড়েছে, সেটি পোঁতা হয়েছে কয়েক মাস আগে। কিন্তু ওই পাইপ দিয়ে প্রত্যাশা অনুযায়ী পানি না আসায় একটু দূরে বসানো হচ্ছিল একই ধরনের আরেকটি পাইপ। তবে আগের পাইপটি ছিল ঢাকনাহীন।